সংক্ষিপ্ত
- দিল্লির হিংসার বলি এক বৃদ্ধাও
- ৮৫ বছরের বৃদ্ধাকে জ্বালিয়ে দিল উন্মত্ত জনতা
- ১০ ঘণ্টা ওভাবেই পড়ে থাকে বৃদ্ধার দেহ
- পরে দমকলকর্মীরা এসে দেহ উদ্ধার করে
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে লড়াই। আর তার মাঝে পড়েই প্রাণ হারাতে হল ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধাকে। দাঙ্গাবাজরা রেহাই করল না অশতিপর অসমর্থ বৃদ্ধাকে।
জানা যাচ্ছএ উত্তর-পূর্ব দিল্লির গামরি এক্সটেনশন এলাকায় থাকবেন বছর পঁচাশির ওই বৃদ্ধা। নাম ছিল আকবরি। বহুতলের চার তলায় থাকতেন তিনি। নীচের তলায় ছিল ছেলের কাপড়ের কারখানা। গত মঙ্গলবার উন্মত্ত জনতা তাণদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর সেই আগুনের তাপ ও ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মারা যান আকবরি।
আরও পড়ুন: দিল্লির হিংসায় নাম জড়ালো আপ নেতার, ছাদ থেকে মিলল পাথর ও পেট্রোল বোমা
ঘটনার দিন নাতি-নাতনিদের আগলে বাড়িতেই বসেছিলেন আকবরি। দূর থেকে উন্মত্ত জনতাকে আসতে দেখেছিলেন। ঘরের জানলা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিতেও দেখেন তিনি। কিন্তু বয়সের ভারে বাড়ি থেকে পালানোর সামর্থ্য হয়নি আকবরির। তাই সকলে পালাতে পারলেও ঘরের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: হিংসায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের
আকবরির ছেলে সইদ সুলেমানি জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ তিনি দুধ আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় দেশড়ো থেকে দুশো জনের একটি দল বাড়িতে হামলা চালাতে আসে বলে সুলেমানিকে ফোন করে তাঁর ছেলে। ওই বাড়িত তিন তলায় তখন ছিল সুলেমানির চার ছেলেমেয়ে। যাদের প্রত্যেকর বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। আর চারতলায় ছিলেন আকবরি। উত্তেজিত জনতা সুলেমানির বাড়ির একতলায় আগুন লাগিয়ে দেয়। তাতে ছেলে-মেয়েগুলি পালাতে পারলেও আটকে পড়ে আকবরি। তার হাতগুলি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর পর প্রায় ১০ ঘণ্টা ওভাবেই দেহ পড়ে থাকে বাড়িতে। রাতে দমকলকর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে আকবরির দেহ উদ্ধার করে।