নয়া পে কমিশন নিয়ে মিলতে পারে খুব খারাপ খবর! মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের
২০২৬ সালের জানুয়ারী থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর একটি করে পে কমিশন গঠন হয়। সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে এই অষ্টম পে কমিশনের সুবিধা পেতে কি তাদের ২০২৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

সম্প্রতি ডিএ বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। এদিকে ফের তাদের জন্য সুখবর আসতে চলেছে। ২০২৬-র জানুয়ারি থেকে লাগু হচ্ছে অষ্টম বেতন কমিশন (8th Pay Commission)।
এর ফলে সরকারি কর্মীদের বেসিক পে বিপুল ভাবে ‘রিভাইজড’ হবে। ভাতাও বাড়বে। আপাতত সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা সেই অপেক্ষায় আছেন। তবে এরই মধ্যে আশঙ্কা!
চিন্তা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের
২০২৬ সালের জানুয়ারী থেকেই অষ্টম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর একটি করে পে কমিশন গঠন হয়। সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে এই অষ্টম পে কমিশনের সুবিধা পেতে কি তাদের ২০২৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?
এই প্রশ্ন উঠছে কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, একটি পে প্যানেল চালু হতে সাধারণত দু থেকে তিন বছর সময় লেগে যায়। উদাহরণস্বরূপ, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের ক্ষেত্রে ২০০৬ সালে গড়া হয়েছিল প্যানেল। কমিশন সরকারের কাছে রিপোর্ট ২০০৮ সালে জমা করে। তবে পে কমিশন লাগু হতে-হতে ২০০৮ সালের অগস্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ, প্রায় ২২ থেকে ২৪ মাস লেগে যায়।
একইভাবে সপ্তম বেতম কমিশন গড়া হয়েছিল ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। যা মার্চ মাসে চূড়ান্ত হয়েছিল। ২০১৫ সালের নভেম্বরে কমিশন রিপোর্ট জমা দেয়। সরকারী সিলমোহর মেলেনি ২০১৬ সালের জুনে। ফর্মেশন থেকে ইমপ্লিমেনটেশন হতে প্রায় তিন বছর সময় লেগে যায়।
এক্ষেত্রেও যদি সেটাই হয় তাহলে ২০২৮ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের। অষ্টম পে কমিশনের ক্ষেত্রে ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রথম ঘোষণা হল। টার্ম অফ রেফারেন্স বা টিওআর এখনও নির্দিষ্ট নয়।
তা হতে হতে ২০২৭ সাল হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর সরকার কিছুটা সময় নিয়ে সংস্কার প্রস্তাব দেবে বা অনুমোদন করবে। তাই অষ্টম পে কমিশন বাস্তবায়ন হতে হতে ২০২৮ সাল হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা অনেকের।

