সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ কাশ্মীর (Kashmir) ও শ্রীনগরে (Srinagar) ভারতীয় সেনার (Indian Army) অভিযানে দুদিনে ৯ জন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে গিয়ে শহিদ হলেন ল্যান্স নায়েক সতবীর সিং। 
 

বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ কাশ্মীরে (Kashmir) ভারতীয় সেনার (Indian Army) অভিযানে ৬ জন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) জঙ্গি নিহত হয়েছে। আর তাদের নির্মূল করতে গিয়ে শহিদ হলেন ল্যান্স নায়েক সতবীর সিং (Lance Naik Satnir Singh)। জানা গিয়েছে ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (19 RR) বাহিনীর এই জওয়ানের বুকে ২টি বুলেট লেগেছিল। বন্দুকযুদ্ধে সব মিলিয়ে চারজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হয়েছিলেন। তাঁদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সতবীর সিং।

বৃহস্পতিবার, অনন্তনাগের (Anantnag) নওগাম-ডুরু এলাকা এবং কুলগামের (Kulgam) মিরহামার এলাকায় পরপর দুটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান  (Anti-terrorist Operations) চালিয়েছিল সেনা। যার ফলে দুই পাকিস্তানী (Pakistani) সন্ত্রাসবাদী-সহ জইশ-এর ৬ জন সন্ত্রাসীকে নিহত হয়। শুক্রবারও সকালে আবার শ্রীনগরে (Srinagar) একটি পৃথক অভিযানে  আরও তিন জইশ জঙ্গির মৃত্যুর হয়েছে সেনার গুলিতে। ফলে পরপর দুদিনে ৯ জন জইশ জঙ্গিকে খতম করল নিরাপত্তা বাহিনী। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের নিহত জঙ্গিদের মধ্যে, জেওয়ান (Jewan) এলাকায় সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পুলিশের একটি বাসে যে মারাত্মক হামলা হয়েছিল, তাতে জড়িত এক জঙ্গিও আছে বলে জানিয়েছে বাহিনী। গত ১৪ ডিসেম্বরের ওই হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছিলেন। এই নিয়ে অনন্তনাগ ও কুলগামেই ডিসেম্বরে ৫ পাকিস্তানি-সহ মোট ২৮ জন জঙ্গি নিহত হল। তবে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের (Jammu Kashmir Police) আইজি বিজয় কুমার (Inspector General of Police Vijay Kumar) বলেছেন, এনকাউন্টার বেড়েছে মানে এই নয় যে জঙ্গিবাদ বেড়েছে। সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে সাফল্যের সংখ্যা বেড়েছে।

ভারতীয় সেনার ১৫ কর্পস বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (GOC), লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি.পি. পান্ডে (Lieutenant General D.P. Pandey) বলেছেন স্থানীয় জঙ্গি নিয়োগ এই বছর দারুণভাবে কমেছে। গত বছর ১৮০ জন স্থানীয় কাশ্মীরি যোদ দিয়েছিল সন্ত্রাসবাদে। তাঁর দাবি এই বছর সংখ্যাটা নেমে এসেছে ১৩০-এ। তিনি জানান, স্থানীয় জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করতে অস্বীকার করছে বলে, পাকিস্তান থেকে উপত্যকায় ঘাঁটি গাড়া জঙ্গিদেরও তাদের গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়ে আসতে হচ্ছে। সেই কারণেই ইদানিং আরও বেশি বেশি করে পাকিস্তানি জঙ্গিরা নিহত হচ্ছে। বাহিনীর পরিসংখ্যান অনুসারে, এই বছর কাশ্মীরে ১৮৫ টি এনকাউন্টারে প্রায় ১৭২ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।