সংক্ষিপ্ত
ক্রমে ভারতে শক্তি বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ৯৮ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৮ জন।
ক্রমে ভারতে জাঁকিয়ে বসছে করোনাভাইরাস। ক্রমশই শক্রি বাড়ছে কোভিড-১৯'এর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক শনিবার জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে মোট ৯৮ জন নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। সব নিলিয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন মোট ২৯৮ জন। এরমধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে, আর ২২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান মন্ত্রক জানিয়েছে এই মুহূর্তে সংক্রমণের সবচেয়ে বিপজ্জনক বাঁকে দাঁড়িয়ে আছে ভারত। প্রতিদিনই আগের দিনের থেকে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে। শুক্রবারই যেমন সারা দিনে মোট ৫০টি জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তারপরদিনই সেই সংখ্যা ৯৮-এ পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, শনিবার থেকেই সারাদেশ জুড়ে নতুন ১১১টি গবেষণাগারে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে।
অন্যেরর ব্যবহার করা জিনিস থেকে কীভাবে শরীরে ঢুকতে পারে করোনা - জেনে নিন
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে ভয় বাড়ির বয়স্কদের নিয়ে - কীভাবে বাঁচাবেন তাঁদের
করোনা সংক্রমণে কোন ব্লাড গ্রুপে কা প্রভাব - জেনে নিন
করোনার হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর কাছে নিজেদের বাড়ির অভ্যন্তরেই থাকার এবং খুব প্রয়োজন না হলে রাস্তায় না বের হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ২২ মার্চ রবিবার সারা দেশে 'জনতা কার্ফু' পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বস্তুত করোনাভাইরাস সংক্রমণ গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে মারাত্বক আকার ধারণ করেছে। ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কীভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে তা দেখলেই এই বিষয়টা বোঝা যাবে। গত ডিসেম্ববর থেকেই বিশ্বে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও ভারতে এই রোদ প্রথম পা রাখে জানুয়ারি মাসে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অবশ্য ভারতের কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ১। ফেব্রুয়ারিতে আরও দুজন আক্রান্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৩ জনে।
কিন্তু মার্চের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের দাপট বাড়ে ভারতে। ১০ মার্চ ভারতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৫০-এ পৌঁছেছিল। তার ৫ দিন পর ১৫ মার্চ ১০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। আর শুক্রবার অর্থাৎ ২০ তারিখ এই সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁই ছুঁই। মার্চ মাসেই ভারতে এই রোগে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ মার্চ কর্নাটকের কালবুর্গি থেকে প্রথম রোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যুসংবাদ এসেছিল। ভারতে অবশ্য ২২ জন সুস্থও হয়ে গিয়েছেন। তবে এই গতিতে ভাইরাসটি সংক্রামিত হলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বে ভারত।
ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বেও করোনাভাইরাস আক্রান্ত ও এই রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮০৫ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে ১১,৮৪২ হয়েছে। দেশভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে ইতালিতে, ৪,০৩২। তারপর আছে চিন ও ইরান, যথাক্রমে ৩,২৫৫ ও ১,৩২৬।