সংক্ষিপ্ত

বেঙ্গালুরুতে এক সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্টে ১৯ বছর বয়সী আসামের এক তরুণীকে তার প্রেমিক নৃশংসভাবে খুন করে। প্রেমিক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছুরি দিয়ে খুন করে এবং একদিন লাশের সাথে অবস্থান করে।

বেঙ্গালুরুতে একটি সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্টে ডেটিং-এর নামে ডেকে প্রেমিককে নৃশংস ভাবে খুন করেছে প্রেমিক। নিহত তরুণীর বয়স ১৯ বছর। তিনি আসামের বাসিন্দা ছিলেন। তার প্রেমিকই এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। লাশ নিয়ে একদিন হোটেলে অবস্থান করেন তিনি।

মৃতের নাম মায়া গগৈ। তিনি তার প্রেমিক আরভ হারানির সঙ্গে হোটেলে এসেছিলেন। ২৩ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মায়া তার প্রেমিককে নিয়ে হাসতে হাসতে হোটেলে আসেন। সে খুব কমই জানত যে তার প্রেমিকা কী মারাত্মক পরিকল্পনা করেছিল। মায়ার পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। মায়া যে ঘরে থাকত সেখানে তার প্রেমিক ছাড়া আর কেউ যায়নি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় তার প্রেমিক আরভ হারনি একা বেরিয়েছিলেন।

ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন মায়া গগৈ-এর-

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ছুরি দিয়ে মায়া-কে খুন করে অভিযুক্ত আরভ। ছুরিটি সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ইন্দিরানগর এলাকায় ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগে আরভ সারাদিন লাশের সঙ্গে ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করা হয়েছে রুমের কম্বল ও বালিশে চাপ চাপ রক্তের দাগ মিলেছে। মেঝেতে একটি হলুদ নাইলনের দড়িও দেখা গেছে। দড়িটি অনলাইনে অর্ডার করেছিল আরভ। বেঙ্গালুরু ইস্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ দেবরাজ বলেছেন যে রুমের নথিগুলি থেকে জানা যায় যে নির্যাতিতার নাম মায়া গগৈ। তার বয়স ছিল ১৯ বছর। তার শরীরে অনেক ক্ষত ছিল। সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতটি তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। তার মাথায়ও ছুরিকাঘাত করা হয়। সন্দেহভাজন কেরালার বাসিন্দা। অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বের হওয়ার পর তিনি ফোনটি বন্ধ করে দেন। সিসিটিভি ফুটেজে ২৩ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে পরিষেবা অ্যাপার্টমেন্টে অন্য কোনও ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।

হত্যাকাণ্ডটি ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত-

খুনি কুইক ই-কমার্স সাইট জেপটো থেকে দুই মিটার নাইলনের দড়ি অর্ডার করেছিল। সে ছুরিটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিল বলে পুলিশের ধারণা। হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত বলে ধারণা করছে পুলিশ। মূল অভিযুক্ত আরভ হারনিকে খুঁজছে পুলিশ।সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টের একটি কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ আসার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। মায়া গগৈ এইচএসআর লেআউটের একটি প্রাইভেট ফার্মে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। মায়ার বোনের অভিযোগে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।