সংক্ষিপ্ত
- থানার সামনে স্ত্রীকে মারধর থানা ইনচার্জের
- সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরোগল
- পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ
- আনা হল অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ
থানার সামনে নিজের স্ট্রীকে পেটাচ্ছেন এক পুলিশকর্তা। ট্যুইটারে ভাইরাল হয়েছিল ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি গন্ধওয়ানির থানার ইনচার্জ পদে ছিলেন। নাম নরেন্দ্র সূর্যংবংশী।
বুধবার ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল নিজের স্ত্রীকে মারধর করছে নরেন্দ্র সূর্যবংশী। জানা যায় ওই ব্যক্তির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলাতেই স্ত্রীকে উচিত শিক্ষা দিতে গিয়েছিল ওই পুলিশকর্মী।
জানা গেছে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল গন্ধওয়ানির থানার ইনচার্জ নরেন্দ্র সূর্যবংশীর। এই খবর পেয়েই গান্ধওয়ানির সরকারি আবাসে হৈচৈ ফেলে দেন তাঁর স্ত্রী। একসময় স্টেশন ইনচার্জ ও তার স্ত্রীর মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়। সেই ঝগড়া দেখতে ভিড় জমাতে থাকেন আশেপাশের উৎসাহী মানুষজন। এর মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে নিজের স্ত্রীকে পেটাতে শুরু করেন নরেন্দ্র। যা ভিডিও করে রাখেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: আর উন্নয়নশীল নয়, ভারত এবার উন্নত দেশ, ট্রাম্পের সফরের আগে স্বীকৃতি দিল আমেরিকা
গান্ধওয়ানি থানার ইনচার্জ নরেন্দ্র সূর্যবংশীর পরিবার ইন্দোরে থাকে। গান্ধওয়ানিতে নরেন্দ্রর সরকারি আবাসনে গত দু-তিন হল এক অপরিচিত মহিলাকে দেখা যাচ্ছিল, এই খবর তার স্ত্রীর কাছে পৌঁছতেই তিনি নিজের ছেলেকে নিয়ে সেখানে চলে আসেন। দেখতে পান সরকারি আবাসনের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপরেই চিৎকার শুরু করেন ওই মহিলা, যা দেখে ভিড় জমতে থাকে। উত্তেজনা তৈরি হওয়ার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আরও পড়ুন: এবারের মত বিদায় ঘণ্টা বাজল শীতের, শুক্রবার থেকে বাড়ছে তাপমাত্রা
নরেন্দ্র সূর্যবংশীর সরকারি আবাসন থেকে এরপর এক যুবতীকে বের করে মানাভরে নিয়ে যায় পুলিশ। শুরু হয় তদন্তও। ঘটনার পরেই নরেন্দ্র সূর্যবংশীকে জেলা লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
মানাভরের এসডিপিও করণ সিং রাওয়াত জানিয়েছিলেন, নরেন্দ্র সূর্যবংশীর স্ত্রী শুনেছিলেন ওই মহিলাকে তার স্বামী বিয়ে করেছে। তারপরেই তিনি এসে ঝামেলা শুরু করেন। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পরেই নরেন্দ্র সূর্যবংশীকে গন্ধওয়ানির থানার ইনচার্জ পদ থেকে সরিয়ে জেলা লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এবার ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অপরহরণ ও ধর্ষণের মামলা করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।