সংক্ষিপ্ত
নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রথমে মারামারি শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্ররা। তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে অনেক ছাত্র আহত হয়, পরে বাকি ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং হট্টগোল শুরু হয়।
সোমবার ছাত্র ও নিরাপত্তারক্ষী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ছাত্র ইউনিয়ন পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তারক্ষীদের বেধড়ক মারধর করে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে পার্ক করা অনেক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় গুলি চালানোর খবরও পাওয়া গেলেও পুলিশ-প্রশাসন এখনও তা নিশ্চিত করেনি। ক্রমবর্ধমান হট্টগোলের কারণে ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা পরিকল্পিতভাবে পরিবেশ অশান্ত করার অভিযোগ করেছেন ছাত্র নেতারা। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
উভয় পক্ষের অনেক আহত
নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রথমে মারামারি শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন ছাত্ররা। তিনি বলেন, এই লড়াইয়ে অনেক ছাত্র আহত হয়, পরে বাকি ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং হট্টগোল শুরু হয়। খবর অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিরাপত্তারক্ষীরা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ছাত্ররা বহু গাড়ি ও বাইক ভাঙচুর করেছে। একটি বাইকেও আগুন দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছুটির কারণে সব ভবন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর পরও শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে ছাত্র ইউনিয়ন অফিস খোলার চেষ্টা করে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে কোন ছাত্র ইউনিয়ন নেই। রক্ষীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এরপরই শুরু হয় নিজেদের মধ্যে মারামারি।
ছাত্র ইউনিয়ন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, পুরো বিতর্কের পেছনের আসল কারণ হল ছাত্র ইউনিয়ন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি। প্রকৃতপক্ষে, বর্তমানে সমগ্র রাজ্যের কোথাও ছাত্র ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অন্যদিকে, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বরাবরই তার ছাত্র ইউনিয়নের জন্য বিখ্যাত। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি বৃদ্ধির বিরোধিতা করার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ছাত্র ইউনিয়ন পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছেন ছাত্রনেতারা। ইউপির এডিজি পুলিশ প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কমিশনার রমিত শর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন।