সংক্ষিপ্ত
২৫ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্তে রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। তার মাঝেই উত্তরাখণ্ডে নামলো পাহাড়ি ধ্বস। ক্যামেরাবন্দি হাওয়া সেই ভিডিও এখন ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
গ্রামের নাম নাজাঙ তাম্বা। এটা উত্তরাখন্ডের ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম। পাহাড়ের খাঁজেই ঘর বানিয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার জনবসতি। গ্রামের পাশ দিয়েই গেছে লিপুলেখ জাতীয় সড়ক।এই সড়ক দিয়েই নানা কাজে , মাঝে মাঝেই শহরে যেতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। আর এই সড়কটি অন্য একটি বিশেষ কারণেও বিখ্যাত ,এই সড়ক দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করেন মানস সরোবরের উদেশ্যে যাওয়া তীর্থযাত্রীরা। খুব ভালো ভাবেই দিন কাটাচ্ছিলেন এখানকার মানুষজন কিন্তু গত শুক্রবারের একটা ঘটনায় রীতিমতো শিহরিত হয়ে ওঠে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। কেউ কেউ প্রাণের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালানোর কথাও ভাবছেনা এখন ? কারণ তাদের ধারণা বেশিদিন এখানে থাকলে তাদের ধ্বসে চাপা পরে মরতে হবে।
উত্তরাখণ্ডের এই এলাকা যদিও একেবারেই ধ্বসপ্রবণ নয়। তবুও গত শুক্রবার পাহাড়ের এক বিশাল অংশ হুড়মুড়িয়ে ধ্বসে যাবার এক ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই অঞ্চলে। ঘটনার ভিডিও ক্যামেরাবন্দি হয় ওই গ্রামেরই এক বাসিন্দার ফোন । তারপর সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট হতেই শোরগোল পরে গেছে নেট দুনিয়ায়।
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ২৫ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্তে রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। ভিডিও এই ঘটনাটি অতি বৃষ্টিপাতের প্রভাবেই কিনা তা এখন খতিয়ে দেখছেন পরিবেশবিদরা।
শুক্রবার ওই ঘটনার পর পুণ্যার্থীদের ৪০ জনের একটি দল ওই পথেই মানসরোবরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তার আগেই ধস নামায় আটকে পড়েন তাঁরা। বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডের জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে গত কয়েক দিন ধরে। যার জেরে জাতীয় সড়কগুলি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। উত্তরাকাশীর স্বারিগড় এবং হেলগুগড়ের কাছে বড় বড় পাথরের চাঁই রাস্তায় নেমে আসায় হৃষিকেশ-গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দিকে, একই কারণে স্তব্ধ হয়ে যায় বিকাশনগর-কলসি-বারকোট জাতীয় সড়ক।