সংক্ষিপ্ত

মাত্র ১২ বছরের কিশোরীর সঙ্গে যৌন হেনস্থা হয়েছিল। 

তারপর পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ উঠল, প্রৌঢ়কে কেবল মৌখিকভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কন্যার হেনস্থাকারীকে শাস্তি দিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন তাঁর বাবা।

প্রৌঢ়কে খুন করলেন সুদূর কুয়েত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে এসে। আর খুনের পর আবার তিনি কুয়েতে ফিরে গেছেন তিনি। এরপর সেখান থেকে ভিডিও পোস্ট করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামালাই জেলায় সম্প্রতি এক প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল বিষয়টি নিয়ে। আর ওই প্রৌঢ়ের আত্মীয় অঞ্জনেয় প্রসাদ কর্মসূত্রে স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন কুয়েতে। তাদের ১২ বছরের এক কন্যা রয়েছে, যে অন্ধ্রে আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিল।

জানা গেছে, সেখানেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়। আর কন্যার কাছ থেকে সেই কথা প্রথমে জানতে পারেন তাঁর মা। এরপর তারা পুলিশে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু প্রৌঢ়ের কোনওরকম শাস্তি হয়নি।

এরপর কুয়েত থেকে পোস্ট করা ভিডিওতে হটাৎই কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর শ্যালিকার বাড়িতে থাকে তাদের কন্যা। শ্যালিকার শ্বশুর এই যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত। কিন্তু পুলিশ শুধু তাঁকে সতর্ক করেই ছেড়ে দিয়েছিল। যা বাবা হিসেবে একদমই মানতে পারেননি তিনি।

তাই কন্যার হেনস্থাকারীকে উচিত শিক্ষা দিয়ে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। অতএব, কুয়েত থেকে গত ৭ ডিসেম্বর সেই কিশোরীর বাবা দেশে ফেরেন। আর তারপরেই সেই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে কুয়েতে আবার ফিরেও যান তিনি।

ভিডিওর মাধ্যমে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন যুবক এবং সেইসঙ্গে, খুনের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়ে দিয়েছেন, কন্যার হেনস্থাকারীকে শাস্তি দেওয়া হয়ে গেছে তাঁর। এবার তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান। ইতিমধ্যেই তাঁর এই ভিডিওটি হাতে পাওয়ার পর পুলিশ নতুন করে আবার তদন্ত শুরু করেছে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।