সংক্ষিপ্ত

  • আগামী ২ মাস মন্দির দর্শনের জন্য খোলা শবরীমালা
  • চলছে মণ্ডলা পুজো
  • এই উপলক্ষ্যে ভক্তদের ঢল নেমেছে
  • পুণ্যার্থীদের শবরীমালা সফরে এবার সঙ্গী এক কুকুর

শবরীমালা নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরেই টানাপোড়েন চলছে। শনিবারই মণ্ডলা পুজো উপলক্ষ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের দরজা। আগামি ২ মাস মন্দির দর্শনের জন্য পুণ্যার্থীরা আসতে পারবেন। তাই দলে দলে এখন পুণ্যার্থীরা শবরীমালার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন। আর এমনই একটি দলের সঙ্গী হল এক রাস্তার কুকুরও। 

পড়ে অবাক লাগলেও এমনই একটি ছবি এবং খবর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, আয়াপ্পা মালাধারির ১৩ জনের একটি দল খালি পায়ে শবরীমালার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং ৪৮০ কিলোমিটার হাঁটে। তিরুপতি থেকে চিক্কামাগালুরুর কোট্টিগেহারা গ্রাম এই দূরত্ব তারা খালি পায়েই অতিক্রম করেন। আর তাদের সঙ্গী হয় রাস্তার কুকুরটি। 

কর্কট থাবা জয় করেই জীবনের জয়গান ওদের, ব়্যাম্প মাতালেন ক্যানসার আক্রান্তরা

হঠাৎই বিষয়টি তাদের চোখে পড়তে তারা কুকুরটিকে তাদের এই সফরে খুশিমনে সামিল করে। তবে সুদীর্ঘ এই পথ পাড়ি দিতে গিয়ে একাধিকবার চোট পেলেও হাল ছাড়েনি কুকুরটি। আর তার চিকিৎসারও কোনও ত্রুটি রাখেনি এই দলটি। 

বদলির নির্দেশ পেয়ে ষাট কিলোমিটার দৌড়, মাঝপথেই জ্ঞান হারালেন পুলিশকর্মী

দক্ষিণ কন্নড়ের মুদাবিদরির বাসিন্দা রাজেশ গুরুস্বামীর নেতৃত্বে এই সফর শুরু হয়েছিল গত ৩১ অক্টোবর। তিরুপতি তিরুমালা থেকে এই পথ চলা শুরু। রবিবার কোট্টিগেহারাতে পৌঁছয় দলটি। এক পুণ্যার্থী জানান, প্রথমে তারা কুকুরটিকে খেয়াল করেননি। পরে তারা বুঝতে পারেন কুকুরটি বহুক্ষণ ধরেই তাদের সঙ্গে হেঁটে চলেছে। সফরের মাঝে মাঝে কুকুরটিকে খাবার দিয়ে তার দেখভালও করেন তারা। প্রতি বছরই তারা শবরীমালাতে যান, তবে এবারের এই সফর ওই কুকুরটির জন্য তাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মত ওই পুণ্যার্থীর।

দেহ নয়, ভিতরে মদ, কফিন খুলেই বিহারে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ

প্রসঙ্গত, শবরীমালা মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেদিকে তাকিয়েছিল গোটা দেশ। সব বয়সের মহিলাদের শবরীমালায় ঢুকতে দেওয়া নিয়ে রিভিউ পিটিশনের শুনানি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতি। বৃহস্পতিবারই শবরীমালা মামলা নিয়ে নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ৭ বিচারপতির বৃহত্তর বে়ঞ্চে শবরীমালা মামলা পাঠানো হয়। জানা যায়, শবরীমালা নিয়ে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি। ২ বিচারপতি রায় নিয়ে সহমত ছিলেন না। সে কারণে মামলা পাঠান হয় বৃহত্তর বেঞ্চে। 

( নিচে রইল কুকুরের ভিডিওটি )