সংক্ষিপ্ত

১৭ বছরের এক ছেলেকে বিয়ে করে, তার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক যুবতীর বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলার ঘটনা। 
 

যুবতী মেয়েটি সদ্য প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে, বয়স ১৯। আর ছেলেটির বয়স মাত্র ১৭। তার সঙ্গেই পালিয়ে বছর বিয়ে করেছিল মেয়েটি। কিন্তু, কয়েকদিন যেতে না যেতেই তার বিরুদ্ধে ওই নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। নাবালক ছেলেটির মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের পরই অবশ্য যুবতী মহিলা থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর জেলায়। 

অভিযুক্ত যুবতী কোয়েম্বাটুরের পোল্লাচি শহরের এক পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন। ১৭ বছর বয়সী ছেলেটি সদ্য দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা পাস করেছে। সে প্রায়ই বাইক নিয়ে আসত যুবতীর কর্মস্থলে। পেট্রল ভরতে ভরতেই তাদের দুজনের প্রেম হয়েছিল। গত প্রায় এক বছর ধরে মন দেওয়া নেওয়ার পর, গত বৃহস্পতিবার, ২৬ অগাস্ট ওই পেট্রল পাম্প কর্মী ও নাবালক ছেলেটি পালিয়ে গিয়েছিল পালানি জেলায়। সেখানে এক মন্দিরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় বলে দাবি করেছে মেয়েটি। পরের দিনই, তারা দুজন আবার কোয়েম্বাটুরে ফিরে এসেছিল। শহরের সেমেডু এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করে। 

"

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ফেরার পর থেকেই যুবতী, নাবালক ছেলেটির উপর যৌন নির্যাতন শুরু করেছিল। এরপর ওই কিশোরের পুলিশের কাছে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। এদিকে অভিযুক্ত মেয়েটি ওই অভিযোগ সম্পর্কে জানার পরই, নাবালক ছেলেটিকে সঙ্গে করে পোল্লাচির এক মহিলা থানায় এসে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পন করে। পরে, পুলিশ ওই কিশোরের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন বা পকসো-র বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে। তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠান।

আরও পড়ুন - কেনাবেচা নাবালিকা ধর্ষণের বিনিময়ে - নিজ সন্তানদেরই দোকানদারের বিছানায় পাঠাতো দুই বোন

আরও পড়ুন - মাইসুরুতে নির্ভয়া - গণধর্ষিতা ছাত্রী, বেধড়ক মার তাঁর প্রেমিককে, ২৪ ঘন্টা পরও অধরা দুষ্কৃতীরা

আরও পড়ুন - স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিল হাতুড়ে ডাক্তার, ভারতে বাড়ছে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা

কয়েক মাস আগে নাবালককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলাতেও। সেইক্ষেত্রে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। ওই মহিলার স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যরাও ওই মহিলার অপরাধের কথা জানতে পেরেছিল। কিন্তু, তারা ওই মহিলাকে সংশোধন করার পরিবর্তে ১৬ বছর বয়সী কিশোরের পরিবারকেই হুমকি দিয়েছিল। ১ লক্ষ টাকা না দিলে কিশোরটির বিরুদ্ধে ওই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হবে, বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে কিশোরের পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করে, ঘটনাটি পুলিশে রিপোর্ট করেছিল। 

YouTube video player