India operation sindoor: মারের বদলা পাল্টা মার। গত ২২ এপ্রিলের পর থেকে এটাই চেয়েছিল দেশবাসী। পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের। জানুন আরও খবর বিশদে…    

India operation sindoor: মারের বদলা পাল্টা মার। গত ২২ এপ্রিলের পর থেকে এটাই চেয়েছিল দেশবাসী। জম্মু কাশ্মীরের পহলেগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল আসমুদ্র হিমাচল। মঙ্গল-বুধবার গভীর রাতে সেই বদলা নিয়ে দেখাল ভারত। একযোগে তিন বাহিনী মিসাইল হামলা চালালো পাক জঙ্গিঘাঁটিতে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হল সন্ত্রাসবাদের কালো হাত।

পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়ায় দেশজুড়ে যখন উৎসবের আমেজ ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর পোস্ট ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরভানের। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ''অপারেশন সিঁদুর'' নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ''অভি পিকচার বাকি হ্যায়..." (ছবি এখনও বাকি আছে)"।

Scroll to load tweet…

প্রাক্তন সেনাপ্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, পাকিস্তান যদি ভারতে লক্ষ্যবস্তু করার চেষ্টা করে সংঘাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এই ধরনের আরও আক্রমণ ভবিষ্যতে হবে।'' এদিকে পনেরো দিনের ব্যবধানে পহেলগাঁওতে হিন্দু পর্যটকদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিল ভারত। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর অধীনে রাফাল যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতীয় বায়ুসেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। ২৬ জন মানুষের হত্যার বদলা নিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালিয়ে জঙ্গিদের ৯টি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই জঙ্গি ঘাঁটিগুলোতে প্রায় ৯০০ জঙ্গি অবস্থান করছিল। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরের ঘাঁটিতে ২৫০ জন, মুরিদকেতে ১২০ জন, মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে ২০০ জন এবং শিয়ালকোট, গুলপুর, ভীমবের ও চক আমরুর ঘাঁটিগুলোতে হামলার সময় ৩০০ জনের বেশি জঙ্গি ছিল। যদিও এই ঘাঁটিগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর, তবে কতজন জঙ্গি হতাহত হয়েছে, সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

ভারতের হামলার কথা মেনে নিয়েছে পাকিস্তান। তারা দাবি করেছে, ভারত ৬টি স্থানে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের 'অপারেশন সিন্দুর' হামলায় ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও ভারতের এই প্রত্যাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মুজাফফরাবাদে লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, "ভারতীয় সেনাবাহিনী কোনো পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করেনি। লক্ষ্য নির্ধারণ এবং হামলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সংযম বজায় রাখা হয়েছে।" ভারতীয় সেনাবাহিনী সকাল ১০টায় এই প্রত্যাঘাত নিয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করে বিশদে জানিয়ে। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।