সংক্ষিপ্ত
- ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করেও প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেয়ে যায় অপরাধী
- সমাজের তীর্যক দৃষ্টি গিয়ে পড়ে নিরপরাধ ধর্ষিতার ওপর
- তবে এবার ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তের জামিন হবে কি না, তা ঠিক করবেন ধর্ষিতাই
- জনিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেয়ে যায় অপরাধী, অন্যদিকে সমাজের তীর্যক দৃষ্টি গিয়ে পড়ে নিরপরাধ ধর্ষিতার ওপর। আদালতের সওয়াল জবাবের মাঝে পড়ে আক্রান্ত মহিলার চরিত্র নিয়েই চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ, অন্যদিকে অপরাধী জামিন পেয়ে যায় খুব সহজেই।
তবে এবার আর তা সম্ভব নয়। কারণ দিল্লি হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এবার থেকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিনের আবেদনে যে শুনানি চলবে তাতে উপস্থিত থাকবেন আক্রান্ত মহিলাও। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের জামিনের শুনানিতে নিজের বক্তব্যও পেশ করতে পারবেন তিনি। শুধু তাই নয়, ধর্ষিতার বক্তব্যকে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনাও করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন প্যাটেল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের বিচাপতি এবং নিম্ন আদালতকেও এই নির্দেশিকা মেনে চলা বাধ্যতামুলক বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিনের শুনানি চলার সময়ে অভিযোগকারী মহিলাও তাতে উপস্থিত থাকবেন, আর এই বিষয়টি বিচারপতিতেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন- আগুন নেভাতে নয়া কৌশল, দমকলের হাতে এল অত্যাধুনিক ফায়ার বল, দেখুন ভিডিও
আরও পড়ুন- গত ১১১ বছরে এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি, বর্ষাশেষে এই রাজ্য প্রত্যক্ষ করল রেকর্ড বর্ষণ
আরও পড়ুন- খোলা স্থানে শৌচকর্ম, পিটিয়ে মেরে ফেলা হল দুই দলিত শিশুকে, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
আরও পড়ুন- প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, তবে কি আবার ফিরবে সুনামির ভয়াবহতা
বিশেষত ধর্ষিতার বয়স যদি ১৬ ও ১২ বছরের নীচে হয়, যেখানে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়, সেসবক্ষেত্রে এই নিয়ম বিশেষভাবে বাধ্যতামুলক করার কথাও বলেন তিনি। এই নয়া নিয়ম বলে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।