সংক্ষিপ্ত
১৯৯০ এর দশকে সিনেমা জগতে পা রাখেন অরুন বালি। কাজ করেছেন নানা হিট মুভিতে। নব্বই এর দশক পেরিয়ে বিংশ দশকে এসে দর্শকদের দিয়ে গিয়েছেন তার দুর্দান্ত কিছু পারফরম্যান্স। তবে কাজের দুনিয়ায় অন্তিম ঘোষণা করে ৭ অক্টোবর ভোর ৪.৩০ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪২ সালের ২৩ ডিসেম্বর জন্মগ্ৰহন করেন অরুন বালি। ১৯৯০ এর দশকে প্রথম সিনেমা জগতে পা রাখেন। সেই ৯০ এর দশক থেকে টানা কাজ করে গিয়েছেন ২০২০ পর্যন্ত। এরপরেই সিনে জগতে কাজ করার চাকা একেবারে থেমে যায়। মারণ রোগে আক্রান্ত হন তিনি। রোগের সঙ্গে লড়াই করে ৭ অক্টোবর,২০২২ সালে তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৭৯ বছর বয়সী, অরুণ বালি সকাল ৪.৩০ টায় মুম্বাইতে মারা যান। জানা গেছে যে অভিনেতা মায়াস্থেনিয়া গ্র্যাভিস নামে একটি অটোইমিউন রোগে ভুগছিলেন। এই বিরল নিউরোমাসকুলার রোগের জন্য তিনি মুম্বাইয়ের হিরানন্দানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অরুণ বালি, বিংশ দশকে 'থ্রি ইডিয়টস', 'কেদারনাথ' এবং 'পানিপথ'-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক হিট সিনেমা। তিনি কুমুম: এক প্যারা সা বন্ধন, চাণক্য, দুসরা কেভাল, মর্যাদা এবং অরোহনের মতো অনেক টিভি শোও করেছেন। অরুণ বালি ইন্ডাস্ট্রির একজন অত্যন্ত সম্মানিত অভিনেতা ছিলেন। অরুণ ১৯৯১ সালের ঐতিহাসিক নাটক চাণক্যতে রাজা পোরাস, দূরদর্শন সোপ অপেরা স্বাভিমান-এ কুনওয়ার সিং এবং ২০০০ সালের বিতর্কিত এবং সমালোচকদের প্রশংসিত সিনেমা হে রাম-এ অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
২০০০-এর দশকে কুমকুম-এ হর্ষবর্ধন ওয়াধওয়ার মতো "পিতামহের" অংশে অভিনয় করার জন্য সূখ্যাতি অর্জন করেছিলেন এমনকি প্রশংসা অর্জন করেছিলেন অরুণ বালি। পাশাপাশি তিনি একজন প্রযোজক ও ছিলেন যেকারনে একটি জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।
মায়াস্থেনিয়া গ্র্যাভিস, এই রোগের সম্পর্কে বলা যায়,
মায়েস্থেনিয়া গ্রেভিস হল এমন একটি অসুখ যা শরীরের রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থার অস্বাভাবিক কার্যকারিতার ফলে হয়, যা ভুলবশত তার নিজের টিস্যু বা কলাকে প্রভাবিত করে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ক্ষতি করে। এটি বিভিন্ন বয়সী পুরুষ এবং মহিলা উভয়কেই প্রভাবিত করে। সাধারণত, মহিলাদের ক্ষেত্রে কম বয়সে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়সকালে এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। প্রদাহের কারণে বিভিন্ন পেশীতে চলন ঘটাতে শক্তির ক্রমাগত ক্ষয় হয়।
এর প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি হল
পেশীর দুর্বলতা।চোখের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ায় ডাবল ভিশন বা দুটি করে দেখা।কথাবার্তায় অসুবিধা।ক্ষীণ স্বর।চিবোতে এবং গিলতে অসুবিধা।শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে অসুবিধা।ওজন তুলতে অসুবিধা।
এটির প্রধান কারণ হল
মায়েস্থেনিয়া গ্রেভিসের কারণ, যখন শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধক ব্যবস্থা ভুলবশত মস্তিষ্ক এবং পেশীর স্নায়ুপ্রান্তের সুস্থ কোষকে আক্রমণ করে। অ্যাসিটাইল কোলিন নামক রাসায়নিক বার্তাবহ, যা মস্তিষ্ক এবং পেশীর মধ্যে পরিবাহিত হয় সেটির ঘাটতির জন্য এই কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন
মালবাজারে মাল নদীতে বিসর্জনে হড়পা বান, রাতের অন্ধকারে প্রতিমা-সহ ভেসে গেল বহু মানুষ
সেনা কপ্টার ভেঙে পাইলটের মৃত্যু, অরুণাচল প্রদেশে ভয়াবহ চপার দুর্ঘটনা