সংক্ষিপ্ত

তামিল শাসক শক্তির ঐতিহ্যবাহী প্রতীক - রাজদণ্ড ভারতের নতুন সংসদ ভবনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। সেঙ্গোল ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত।

 

শনিবার নতুন পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধনের ঠিক এক দিন আগেই অধিনামদের হাত থেকে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য নিজের হাতে তুলে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন দেশের ঐতিহ্যের প্রতীক সেঙ্গোল রাখা হবে নতুন সংসদ ভবনে। মোদীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণী সুরাপস্টার রজনীকান্ত। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তামিল ভাষায় টুইট করে বলেছেন, 'তামিল শাসক শক্তির ঐতিহ্যবাহী প্রতীক - রাজদণ্ড ভারতের নতুন সংসদ ভবনে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। তামিলিয়ানদের গর্ব এটি।' তিনি আরও বলেন, 'মাননীয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ, যিনি তামিলদের জন্য গর্বের একটি জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন।'

রাজনীতিকান্ত শুধু তামিল বা দক্ষিণী সুপারস্টার নয়, গোটা দেশেই তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি যখন এই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজদণ্ড সেঙ্গোল ২১ জন অধিনামের হাত থেকে নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠামের মধ্যে দিয়ে। তামিলনাড়ু থেকে এসেছিলেন অধিনামরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনেই তাঁরা দেখা করেন । সেখানেই তাঁরা মোদীর হাতে কিছু উপহার তুলে দেন। মোদীও তাঁদের থেকে আর্শীবাদ চেয়েছন।

যাইহোক সেঙ্গোল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, স্বাধীনতার পরে সেঙ্গোল যথাযথ সম্মান পেলে ভাল হত। তবে এটি প্রয়াগরাজে হাঁটার লাঠি বা সাধারণ লাঠি হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে ১৯৪৭ সালে পবিত্র তিরুভাগুথুরাই অধিনাম এই বিশেষ সেঙ্গোল তৈরি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, এটি অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক যে ভারতের স্বাধীনতায় তামিলনাড়ুর জনগণের অবদানকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি সেঙ্গাল হাতে তুলে নিয়ে বলেন তিনি অত্যান্ত আনন্দিত যে ভারতের মহান ঐতিহ্যের প্রতীক সেঙ্গোল, নতুন সংসদ ভবনে স্থাপন করা হবে।

যাইহোক সেঙ্গোলে নিয়েই বিরোধাদের সঙ্গে বিশেষত কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মতপার্থক্য তুঙ্গে ওঠে। কারণ বিজেপির দাবি এটির সঙ্গের ভারতের দীর্ঘ যোগ রয়েছে। তামিল ভাষায় একে সেঙ্গোল বলা হয় এবং এর অর্থ সম্পদে সমৃদ্ধ এবং ঐতিহাসিক। সেঙ্গোল শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'শঙ্কু' থেকে, যার অর্থ শঙ্খ খোল। সনাতন ধর্মে শঙ্খকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। মন্দির ও বাড়িতে আরতির সময় আজও শঙ্খ ব্যবহার করা হয়। সেঙ্গোলকে এলাহাবাদের একটি যাদুঘরে রাখা হয়েছিল এবং এখন নতুন সংসদ ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। অমিত শাহ বলেছিলেন যে এই সেঙ্গোলটি সেই একই যা স্বাধীনতার সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুকে দেওয়া হয়েছিল। পন্ডিত জওহর লাল নেহেরু ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ তারিখে রাত ১০.৪৫ মিনিটে তামিলনাড়ু আইনের মাধ্যমে সেঙ্গোলকে গ্রহণ করেন। এরপর ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

'ভারতের মহান ঐতিহ্যকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি', সেঙ্গোল ইস্যুতে নাম না করে কংগ্রেসকে নিশানা মোদীর র

অধিনামদের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাতে নিলেন সেঙ্গোল, দেখুন সেই ভিডিও

NITI Aayog: 'দায়িত্বজ্ঞানহীন ও জনবিরোধী', নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করায় মমতাদের তোপ বিজেপির