সংক্ষিপ্ত

ঐতিহাসিক এই দৃশ্য দেখতে উদগ্রীব দেশবাসী। কিন্তু কোথায় দেখা যাবে লঞ্চের লাইভ স্ট্রিমিং? জেনে নেওয়া যাক।

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইতিহাস গড়ে সূর্য জয়ের পথে পাড়ি দেবে ইসরোরআদিত্য-এল১। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করবে আদিত্য এল১। ঐতিহাসিক এই দৃশ্য দেখতে উদগ্রীব দেশবাসী। কিন্তু কোথায় দেখা যাবে লঞ্চের লাইভ স্ট্রিমিং? জেনে নেওয়া যাক।

কোথায় দেখা যাবে আদিত্য-এল১ মিশনের সরাসরি সম্প্রচার?

ইসরোর লঞ্চ ভিউ গ্যালারি থেকে প্রত্যক্ষ করা যাবে এই মিশন। এছাড়া প্রতিবারের মতোই লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থাও করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। ইসরোর ইউটিউব পেজ, ইসরোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ইসরোর ফেসবুক পেজ, ডিডি ন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল থেকেও দেখা যাবে উৎক্ষেপণ।

কখন থেকে শুরু হবে সরাসরি সম্প্রচার?

শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হবে আদিত্য-এল১ মিশনের সরাসরি সম্প্রচার।

আর কয়েক ঘন্টার মধ্য সূর্য জয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবে ইসরোর মহাকাশযান আদিত্য এল১। ২ সেপ্টেম্বর, শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে মহাকাশযানটি। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকেই এই অভিযান সরাসরি দেখতে পাওয়া যাবে। পিএসএলভি-সি৫৭ রকেটের মাধ্যমে শ্রীহরিকোটা থেকে রওনা দেবে আদিত্য এল১।

ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে অর্থাৎ পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৌঁছতে আদিত্য এল১-এর সময় লাগবে ১২৫ দিন। উৎক্ষেপণের পর প্রায় ১৬ দিন পৃথিবীর চারিদিকে পাক খাবে আদিত্য-এল১। এরপর উপযুক্ত গতি লাভ করে সূর্যের অভিমূখে যাত্রা করতে মহাকাশযানটির সময় লাগবে ১১০ দিন। পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টে অবস্থান করবে এই আদিত্য এল১। এখানে সূর্য এবং পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে।

ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান পয়েন্টঃ

Lagrange point1 হল যেখানে মহাকর্ষী শক্তি দুটি বস্তির মধ্যে কাজ করে। একে অপরকে এমনভাবে ভারসাম্য প্রদান করে যাতে মহাকাশযানটি দীর্ঘ সময়ের জন্য একই জায়গায় অবস্থান করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের কথায় সূর্যকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য L1 বিন্দুটিতে ল্যাগ্রাঞ্জিয়ান বিন্দুগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এটি আবিষ্কার করেছিলেন গণিতজ্ঞ জোসেফ লুই ল্যাগ্রেঞ্জ।

L1 পয়েন্টের চার পারে হ্যালো কক্ষপথে যে উপগ্রহ রয়েছে তা থেকে অনেক সুবিধে পেতে পারে। এখান থেকেই সূর্যকে অবিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে। গ্রহণ ছাড়াও পর্যবেক্ষ করা যাবে। এটি সৌর ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করার ও রিয়েল টাইমে মহাকাশের আবহাওয়ার উপর তাদের প্রভাবকে আরও বেশি সুবিধে প্রদান করবে। জানিয়েছে ইসরো।