সংক্ষিপ্ত
- স্বচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার
- ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে দাবি রাহুলের
- পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন ক্ষমতা হস্তান্তরের
আগামী ১৭ মে শষ হচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউন। পরবর্তী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে? করোনা সংকট কাটাতে কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে ? কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী পর এবার প্রশ্ন করলেন কংগ্রেসের ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আরও অনেক বেশি স্বচ্ছতা প্রয়োজন। পরিষ্কার একটি নীতি জনগণের সামনে পেশ করারও আর্জি জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতর অনেকবেশী ক্ষমাতা সম্পন্ন। তাই এই মুহূর্তে সেই শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নামলে গোটা দেশেরই ক্ষতি হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন সংকটকালীন এই সময় ক্ষমাতা কেন্দ্রীভূত না রেখে তা হস্তান্তর করা প্রয়োজন।
ওই ভিডিও বৈঠকে রাহুল গান্ধী আরও বলেন, বর্তমানে নজীরবিহীন সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দেশ। আর এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে শুধু জাতীয় পর্যায় নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। গোটা দেশে জানা আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই শক্তিশালী। তাঁর কাজকরার একটি নিজস্ব স্টাইলও রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের একজন শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রীর থেকে অনেক শক্তিশালী মুখ্যমন্ত্রী, জেলা শাসকের প্রয়োজন। রাজ্য থেকে জেলা ও পঞ্চায়েত ও জেলা স্তরে নেমে কাজ করতে পারবে এমন দেশপ্রেমিক নেতাও প্রয়োজন রয়েছে। যারা তৃণমূল স্তরে নেমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় সরকার এখন যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রাখলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেও ক্ষমতা হস্তান্তরে জোর দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল স্তর থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
লকডাউন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন এই সময়টা বড়ই কঠিন। তাই এই সময় কারও সমালোচনা তিনি করবেন না। কিন্তু কী করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী। এই মুহূর্তেই ছোট উদ্যোগপতি, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া আর অভিবাসী শ্রমিকদের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। এখনই যদি তাঁদের পাশে দাঁড়ানো না যায় তাহলে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কর্মহানির সুনামি আসবে। একই সঙ্গে তিনি উত্তর দেন কেন তিনি বিশিষ্ট অর্থনীতিদিদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি বলেন প্রায়ই তিনি বিশিষ্টজনের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু সেই কথোপকথন গোটা দেশবাসীর কাথে পৌঁছে দিতেই তার ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুরাম রাজনের পরামর্শের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই মুহূর্তে দেশের দেশের আর্থিক পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে মাসে ৭৫০০ হাজার টাকা দেওয়া জরুরী। যারা দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এখনই দেশের মানুষের মধ্যে চাহিদা বৃদ্ধি প্রয়োজন। তারজন্য ছোট ও মাঝারি শিল্পপতিদের চাঙ্গা করা জরুরী। ইতিমধ্যেই অনেক সময় নষ্ট হয়ে গেছে। আরও সময় নষ্ট করা হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন বলে বলেও তিনি জানিয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস যে ন্যায় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল সেই এই সময় কার্যকর করা উচিৎ।