আমেদাবাদ-লন্ডনগামী বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতর। এর মধ্যে ২৪১ জন বিমানযাত্রী এবং ৩৪ জন বিমানের বাইরে থাকা ব্যক্তি। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ২৬০ টি দেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা খবরে চমক পেয়েছে সারা বিশ্বের মানুষ। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমান ওড়ার পরই ভেঙে পড়ে। এবার এই দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা নিয়ে হল সরকারি ঘোষণা। গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় মোট ২৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বিমানে মধ্যে থাকা ২৪১ জন নিহত হন। বিমানের বাইরে থাকা ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বিভিন্ন সূত্রে এর আগেও সামনে এসেছে। তবে, এই প্রথম সরকারি ভাবে জানানো হল এই মৃতের সংখ্যা। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছিল, মৃতের সংখ্যা বিভিন্ন দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষার পরই নিশ্চিত করা যাবে।
গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সমস্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। এর মধ্যে ২৬০টি দেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্য়মে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ছটি দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে মুখমণ্ডল দেখে। এর মধ্যে ১২০ জন পুরুষ, ১২৪ জন মহিলা এবং ১২টি শিশু। ২৫৬টি দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি দেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষা চলছে এখনও।
প্রসঙ্গত, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার পরই ভেঙে পড়ে আমেদাবাদ- লন্ডনগামী AI 171 বিমানটি ভেঙে পড়েছে। ওড়ার পর মুহূর্তে অন্তত ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন বেঁচে আছেন। বাকি সকলেই প্রয়াত। সে সময় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই বিমানে যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে ১৬৯ জন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। এছাড়াও ৫৩ জন ব্রিটিশ, এক জন কানাডিয়ান, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। ছিলেন ১০ জন ক্রু সদস্য।
এর পর থেকে একের পর এক বিমান গোলযোগের খবর আসছে। চলতি মাসের ১৯ তারিখ নাগাদ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান গোলযোগের খবর আসে। কলকাতা থেকে ত্রিপুরার আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল উড়ানটি। যাত্রা শুরুর পর মাঝ আকাশে বিমানটিতে হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয় বিমানে। মুহূর্তেই যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। তবে, পাইলটের তৎপরতা পুনরায় উড়ানটি কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হয়।


