সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে পালিয়ে এসে আপাতত রয়েছেন ভারতে। দিল্লির কাছে হিন্ডেন বিমানঘাঁটিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল। অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিনই মন্ত্রিসভা সংক্রান্ত নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক করেন। তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খরব নেন। যদিও আগেই তাঁকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁকে আগেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট অজিত ডোভাল হিন্ডেন এয়ারবেসেই দেখা করেছিলেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। ভারতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরেই তিনি দেখা করেন হাসিনার সঙ্গে। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর বিমানে হিন্ডেন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সূত্রের খবর হাসিনা ভারত থেকে লন্ডনে যাতে চাইছে। ইতিমধ্যেই বিট্রেন সরকারে কাছে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।
অন্যদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিতি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও সংশ্লিষ্ট সদস্যরা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়। দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রাক্তন পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বিরোধী দল বিএনপি জামাতে ইসলামি ওই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। তাতেই কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ ও ভারতের নিরাপত্তার জন্য গোটা পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক।
সূত্রের খবর ছিল শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিতে পারেন। কিন্তু বিমান Lockheed C-130J Hercules ভারতের আকাশসীমা পার করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের ওপর দিয়ে তাঁর বিমান উড়তে দেখা গেছে। তাতেই স্পষ্ট শেখ হাসিনা এই রাজ্যে আশ্রয় নেননি। বিমান সংস্থার সূত্র অনুসারে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিমান পশ্চিমবঙ্গকে বাইপাস করে উড়ে গেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।