সংক্ষিপ্ত

আগামী বছর ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। আর তারজন্য এখন থেকেই দলীয় নেতা কর্মীদের প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভকে কাজে লাগাতে পরামর্শ বাম নেতার।

 

যারা বিজেপির ওপর ক্ষুদ্ধ বা ক্ষিপ্ত তারা যে সবাই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমকে ভোট দেবে এমনটা নয়। রবিবার মহিলার শাখার একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা মানিক সরকার। তবে তিনি বলেন গত চার বছরে রাজ্যে বিজেপির শাসনে রীতিমত হতাশা বেড়েছে ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে।

মানিক সরকার বলেন, ' এটা সত্য যে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও ত্রিপুরার আদিবাসী ন্যাশানাল পার্টির ৪০ শতাংশ সম্মিলিত ভোট শেয়ার বিজেপি-আইপিএফটি জোটের দিকে গিয়েছিল। আর এই ভোটই বিজেপির জয় নিশ্চিত করেছিল সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে।' এদিন তিনি বলেন, রাজ্যের জনগণ বিজেপির প্রতি হতাশ আর ক্ষুব্ধ। গত সাড়ে চার বছরে আইপিএফটি রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলে দলীয় আধিপত্য হারিয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে দুই দলের সমস্ত ক্ষুব্ধ ভোটাররা আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে ছেড়ে সিপিএমকে সমর্থন করবে।

ত্রিপুরা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, আইপিএফটির নেতা - কর্মী ও ভোটাদের একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ ইতিমধ্যেই টিপরা মেথায় চলে গেছেয তারা একটি বৃহত্তর টিপ্রল্যান্ডের স্বপ্ন এখনও দেখে। অন্যদিকে কংগ্রেস যাদের ভোট ২০১৮ সালে ২ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল তারা নিজের ভোট ফিরিয়ে আনার তীব্র চেষ্টা করছে। আর সেই কারণে সিপিএম নেতা কর্মীদের এখন থেকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নিজেদের পুরনো ভোটাদের দলে ফিরিয়ে আনার কাজ এখন থেকেই শুরু করা জরুরি। এর পরই তিনি সিপিএম নেতা কর্মীদের বিক্ষুদ্ধদের কাছে গিয়ে কথা বলা আর জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

২০১৩ সালের নির্বাচনে বিজেপি ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আর ১০১৮ সালে বিজেপি ভোট পেয়েছিল প্রায় ৪০ শতাংশ। এই বছরে ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপির আসন ৩৬টি। তবে মানিক সরকার আরও বলেছেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনে জয়ের জন্য ত্রিপুরায় কর্মসংস্থানের ওপর জোর দেবে। ডিএ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিতে পারে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ বিজেপির ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসা বিজেপির পক্ষে খুব সহজ নয়। আর সেই কারণেই রাজ্যের মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে আর হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বচেন জয় ছিনিয়ে আনতেই দলীয় নেতা ও কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন মানিক সরকার। আগামী বছর ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।

আরও পড়ুনঃ

'কংগ্রেস কি ৭০ বছরে কিছুই করেনি?' নিজেকে অস্পৃশ্য সম্প্রদায়ের সদস্য বলে মোদীকে আক্রমণ কংগ্রেস নেতার

ভারতীয় মেয়েরা কেন বিয়েতে শাড়ি - ঘাঘরা চোলি পরে না? মোটা মেয়েদের পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আশা পারেখ

অনুব্রতর গড়ে 'মুসকিল আসান' রূপে মিঠুন চক্রবর্তী, বললেন, বিজেপি এলে রাজ্যের উন্নয়ন হবে