সংক্ষিপ্ত
বীরভূমে জনসভা বিজেপির। উপস্থিত ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। নিজের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই মাতিয়ে রাখেন জনসভা। স্থানীয় মানুষদের বেশ কিছু সমস্যারও সমাধান করেন।
গরুপাচারকাণ্ডে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল । এই অবস্থাতেই তাঁর গড়ে উপস্থিত হয়ে রীতিমত ভিড়ে ঠাসা জনসভায় কল্পতরু মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। সভায় উপস্থিত বেশ কয়েকজন জনতার সমস্যার সমাধানও করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন এই রাজ্যে বিজেপি এলে তবেই এই রাজ্যের উন্নয়ন হবে। মল্লারপুর নিমিতলায় বিজেপির সভা অয়েজিত হয়। কেষ্টার গড়ে বিজেপি কর্মী ও সাধরণ মানুষ দীর্ঘ অপেক্ষায় ছিল ফাটাকেস্ট মহাগুরু মিঠুনের জন্য। সভামঞ্চ যখন মিঠুন চক্রবর্তী বক্তব্য রাখেন। ওই সময় জনতার দরবার থেকে একধিক প্রশ্ন ছুটে যায় মহাগুরুর দিকে।
বাড়ি সমস্যা সমাধানঃ
সভা নীচে থাকা এক মহিলা চিৎকার করে বলতে থাকে -স্যার আমারা ২০ -২২ বছর ধরে ভারা বাড়ি তে থাকছি। ইন্দিরা আবাস যেজনার বাড়ি পায় নি। মহিলার পপ্রশ্নে মিঠুন চক্রবর্তী উত্তর দেন আপনার ভাড়া বাড়ি থাকার দিন শেষ। তারপরই মঞ্চে উপস্থিত বিজেপির প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেন ওই মহিলাকে। মহিলা তারপরই আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। চোখে জল নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে প্রণাম করার জন্য এগিয়ে আসেন। সেই সময় মিঠুন বলেন মানুষের আশীর্বাদ তাঁর সঙ্গে থাকলেও হল। এই সময়ই এক মহিলা বলেন, দেশের উন্নতি হচ্ছে কই, অনেক দিন ধরে শুনছি। তারই পাল্টা মিঠুন বলেন এই রাজ্যে ক্ষমতায় কারা আছে? তারপর তিনি বলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের উন্নয়ন হবে। তারপরই মিঠুন মঞ্চে উপস্থিত বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাতে মাইক্রোফোন ধরিয়ে দিয়ে বলেন, শুনে নিন মোদীজি এই রাজ্যের কী কী করেছেন। তবে সুকান্ত মুজমদার বলেন এই রাজ্যে ও জেলা জুড়ে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ণ প্রকল্পগুলি কাজে আসেনি তার কারণ হিসাবে তৃণমূল ও মমতা বন্ধোপ্যাধায়কে প্রকল্পগুলিকে কার্যকর করতে চাননি।
পড়ুয়ার সমস্যার সমাধানঃ
এদিন সভাস্থলে এক মহিলা পড়ুয়া তার আর্থিক সমস্যার কথা জানান। সেই সময় মিঠুন চক্রবর্তী স্থানীয় বিজেপি নেতাকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন এই ব্যক্তি তাঁকে পড়ার জন্য প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা দেবেন। আর সেই টাকা জোগাড় করে দেবেন তিনি। তবে মহিলাকে বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন মহাগুরু।
বেপরোয়া গাড়ি চলাচলঃ
স্থানীয় এক পড়ুয়া অভিযোগ করেন , বালি মাফিয়াদের দাপট বাড়ছে। আর সেই কারণে রাস্তা দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেপরোয়া লরি চলে। তাদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে এজাতীয় গাড়ির জন্য সমস্যা হয়। এর সমাধান চায় পড়ুয়া। উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন যতজন ছাত্র-ছাত্রী আছো রাস্তার সামনে ব্যাগ পত্র নিয়ে বসপড়ে । তারপর দেখ কী হয়। এছাড়াও একাধিক প্রশ্ন করতে থাকে জনতা জনার্দন উত্তর উপায় বলতে থাকে মহাগুরু ।
আরও পড়ুনঃ
শি-র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল চিন, ক্ষোভের আগুনে স্ফুলিঙ্গ উরুমকির আগুনে ১০ জনের মৃত্যু
'কে কাকে প্রাক্তন করবে?' নাম না করেই শুভেন্দুকে আক্রমণ ফিরহাদ হাকিমের