সংক্ষিপ্ত

কোহলে হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের মতে, হত্যার অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করার অপরাধে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে কেমিস্ট হত্যা। সেই রসায়নবিদের খুনের সঙ্গে যুক্ত মূল অপরাধী ইরফান খানকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উল্লেখ্য শনিবারই তদন্তের জন্য এনআইএ-র একটি দল অমরাবতী সফর করেছে। এর আগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র টুইট করেছিলেন যে তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আওরঙ্গাবাদ থেকে রাজ্য পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) এর একটি দলও শহর পরিদর্শন করেছে। 

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিক্রম সালি সাংবাদিকদের বলেন পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অপরাধে ব্যবহৃত ছুরিও বাজেয়াপ্ত করেছে।

অমরাবতী কেমিস্ট হত্যায় গ্রেফতার

কোহলে হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের মতে, হত্যার অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ডকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমরাবতী সিটি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ সন্ধ্যায় নাগপুর থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ইরফান খানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে। উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহে (৫৪) অমরাবতীতে একটি ওষুধের দোকান চালাতেন।

এর আগে মুদাসসার আহমেদ ওরফে সোনু রাজা শেখ ইব্রাহিম (২২), শাহরুখ পাঠান ওরফে বাদশা হিদায়াত খান (২৫), আবদুল তৌফিক ওরফে নানু শেখ তসলিম (২৪), শোয়েব খান ওরফে ভুরিয়া সাবির খান (২২), আতিব রশিদ আদিল রশিদকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। (২২) এবং ইউসুফ খান বাহাদুর খান (৪৪) কোলহে হত্যার সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জুন রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে কোহলে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন নিজের মোটরবাইকে। সেই সময় তাঁর ছেলে সংকেত ও তাঁর স্ত্রী বৈষ্ণবী অন্য একটি মোটর বাইকে একই সঙ্গে যাচ্ছিলেন। মহিলা কলেজের গেটের কাছাকাছি তাদের গাড়ি যখন পৌঁছেছিল তখন মোটরসাইকেল থেকে দুই যুবক রাস্তায় নেমে কোলহকে ধারালো অস্ত্র গিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘাড়ে কোপ মেরে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

সংকেতের অভিযোগের ভিত্তিকে মুদ্দসির আহমেদ, শাহরুখ পাঠান, আব্দুল তৌফিক, শোয়ের শান আতিব রশিদকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়। এরা প্রত্যেকেই অমরাবতীর বাসিন্দা। দিনমজুরের কাজ করত।

পুলিশের অনুমান নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করার জন্য যেমন উদয়পুরের দর্জি কানাইলালকে কুপিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। জুন মাসে একটি টিভি ডিবেটে অংশ নিয়ে নবী মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তারপর থেকেই দেশের একাধিক এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। 

দিনের বেলা দর্জিকে কুপিয়ে খুন, অগ্নিগর্ভ উদয়পুরে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা 

উদয়পুরের 'খুনি'দের বাইকের নম্বর ২৬১১, এই নম্বর প্লেট পেতে দিয়েছিল ৫ হাজার টাকা

ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজারকে গুলি করে খুন, পরপর হিন্দু খুনে আতঙ্ক বাড়ছে উপত্যকায়