সংক্ষিপ্ত
স্কুলে টিফিন হিসেবে আমিষ খাবার নিয়ে এসেছিল পাঁচ বছরের পড়ুয়া। এই 'অপরাধ'-এ খুদে পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হল। তার বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙার ইচ্ছাপ্রকাশ, সবাইকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার হিলটন কনভেন্ট স্কুলে। বহিষ্কৃত হওয়া পড়ুয়ার মা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি স্কুলে গিয়ে অধ্যক্ষর সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বচসার ভিডিও ভাইরাল। এশিয়ানেট নিউজ বাংলা অবশ্য এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। এই ভিডিওতে পড়ুয়ার মায়ের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আপনার সন্তান বলেছে, ও আমিষ খাবার খাইয়ে সবাইকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে চায়। ও হিন্দু মন্দির ধ্বংস করতে চায়।’
খুদে পড়ুয়ার সামনেই বচসা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলে যখন অধ্যক্ষর সঙ্গে বচসা চলছিল, তখন মায়ের পাশেই ছিল খুদে পড়ুয়া। তার সামনেই তুমুল বচসা হয়। এই পড়ুয়ার মা পাল্টা অভিযোগ করেন, তাঁর সন্তান গত তিন মাস ধরে বলে আসছিল, ক্লাসে শুধু 'হিন্দু-মুসলিম' হচ্ছে। সে কথা শুনে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আপনি ওকে এসব শেখাচ্ছেন।’ এই পড়ুয়ার মা অভিযোগ করেন, তাঁর সন্তানকে সকাল থেকে ক্লাসে বসতে দেওয়া হয়নি। তখন অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি ওকে আর শিক্ষা দিতে চাই না। আমরা ওকে বহিষ্কার করেছি।’
জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আমরোহার মুসলিম কমিটির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল এবং অধ্যক্ষকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। আমরোহার বুনিয়াদি শিক্ষা আধিকারিক তিনটি সরকারি স্কুলের অধ্যক্ষদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ করল স্কুল পড়ুয়ারা, ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণে তাজ্জব পুলিশ