সংক্ষিপ্ত

ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা গেটে পতাকা দেখতে পায়। খবর পায় স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ এসে পতাকা খুলতে বাধ্য করে। তবে, গেট খোলা থাকলেও স্কুলে প্রবেশ করেনি ছাত্রীরা। তারা চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে।

গতকাল ছিল বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ। গোটা দিন এই বনধ ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। কোথাও ট্রেন অবরোধ হয়েছে, কোথাও হয়েছে ভাঙচুর তো কোথাও গুলি চলেছে। তেমনই কোথাও শান্তিপূর্ণ ভাবে বনধ পালন হয়েছে। এদিন বীরভূমের ঘটনা নজর কাড়ল সকলের। সেখানের পড়ুয়াদের অভিনব প্রতিবাদে তাজ্জব পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমে নলহাটি থানার বানিওর এ কে হাইস্কুলে। সেখানে পুলিশ জোড় করে স্কুলের গেট থেকে বিজেপির পতাকা তুলে দেয়। সকালে বিজেপি কর্মীরা স্কুলের গেলে বিজেপির পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা গেটে পতাকা দেখতে পায়। খবর পায় স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ এসে পতাকা খুলতে বাধ্য করে। তবে, গেট খোলা থাকলেও স্কুলে প্রবেশ করেনি ছাত্রীরা। তারা চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচার চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে। স্কুলের গেলে জমায়েত হয়ে শুরু করে প্রতিবাদ। চিকিৎসকের মৃত্যু তো বটেই সঙ্গে মঙ্গলবার ছাত্রদের ওপর পুলিশের লাঠি চার্জ নিয়ে ও প্রতিবাদ করে তারা।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি ও বিসি মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদর গোবিন্দ সাহু এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা ধর্মঘটকে সফল করতে স্কপলের গেটে তালা ঝুলিয়েছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের দলদাস পুলিশ আমাদের পতাকা খুলতে বাধ্য করে। ছাত্রছাত্রীরা পুলিশের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে। স্কুলে না ঢুকে প্রতিবাদ করে। আমরা চাই এভাবেই সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক। এভাবে স্কুল পড়ুয়াদের প্রতিবাদ উঠে আসে খবরের শিরোনামে। সকলের মতো তাঁরাই ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় লড়াই করে চলেছেন। তাঁদের প্রতিবাদে তাজ্জব হল পুলিশ প্রশাসন।