সংক্ষিপ্ত

রবিবার সন্ধেয় ভূমিকম্প অনুভূত হল রাজস্থানের বিকানেরে। সন্ধে ৬টা ৫৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৩। 
 

রবিবার সন্ধেয় (Sunday Evening) ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হল রাজস্থানের বিকানেরে (Bikaner, Rajasthan)। সন্ধে ৬টা ৫৬ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে (Richter Scale) ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৩। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Center for Sysmology) তথ্য অনুসারে, কম্পনটি সৃষ্টি হয়েছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৯ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের জেরে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। সেই কারণে বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন অনেকেই।

এর আগে ২০ নভেম্বর ভোরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল রাজস্থানের জালোরে (Jalore, Rajasthan)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে, ৭ থেকে ১২ সেকেন্ডের জন্য পালি, সিরোহি, জালোর এবং যোধপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জালোরই ছিল ওই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।

 

 

রাজস্থান দেশের ভূকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। এটি রয়েছে আরাবল্লি বেল্টে। গুজরাট সংলগ্ন চ্যুতিরেখা বরাবর টেকটোনিক প্লেটে সংঘর্ষের ফলে এই এলাকাতেও ঘনঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন - Earthquake in Sikkim: রবিবার রাতে কেঁপে উঠল সিকিম, কম্পন অনুভূত পশ্চিমবঙ্গেও

পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট হঠাৎ করে একে অপরের উপর দিয়ে পিছলে গেলেই ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। তারা যে পৃষ্ঠে বরাবর পিছলে যায় তাঁকে বলে ফল্ট বা চ্যুতি। ছোট ছোট ভূমিকম্পগুলি কোনও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। তবে, বড়মাপের ভূমিকম্পটি না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়, ছোট  মাপের ভূমিকম্পটি কোনও প্রধান ভূমিকম্প ছিল, না বড় ভূমিকম্পের আগমনবার্তা। তাই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। 

আরও পড়ুন- ভোর রাতে কাঁপল মাটি, দুলে উঠল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

তার আগে ১৮ অক্টোবর ভূমিকম্প হয় উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। কম্পন অনুভূত হয় দার্জিলিঙে (Darjeeling)। সিকিমেও মাটি কেঁপে ওঠে বলে জানা গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.৪। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নেপাল। এছাড়াও সিকিম এবং চিনের সীমান্ত জুড়ে কম্পনের উৎসস্থল বিস্তৃত ছিল। আচমকা মাটি দুলে উঠতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দার্জিলিংয়ের সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আচমকা এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানায় ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার।