সংক্ষিপ্ত

স্বাধীনতার পর, নেতাজির অন্তর্ধানের রহস্য উদঘাটনের জন্য কেন্দ্র তিনটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল।তাও নেতাজির অন্তরধান নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা। ৮ই সেপ্টেম্বর নেতাজি মূর্তি  উন্মোচন করবেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই টোকিয়ো থেকে নেতাজির দেহাবশেষ ফিরিয়ে আনার দাবি জানাল সুভাষকন্যা আনিতা পাফ । 

নেতাজি সুভাষচন্দ্র - নিঃসন্দেহে ভারতবর্ষের জাতীয় নায়ক। কিন্তু তার এই নায়কত্ব নিয়েও নানা মুনির নানা মত।  কেউ কেউ বলেন তাকে জাতীয় নায়কের আখ্যা দেওয়া হলেও,তার প্রাপ্য সম্মান তিনি কোনোদিনই পাননি।  আবার কেউ বলেন, দেশবাসী তাকে যথাযোগ্য সম্মান দিলেও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল  মাঝে মাঝে ভুলে যায়  যে নেতাজি যেকোনো ঠুনকো রাজনীতির উর্দ্ধে। 

গত ২৩শে জানুয়ারী  ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি স্থাপন নেতাজিকে নিয়ে  হওয়া  রাজনীতির এই জল্পনাকে আরও উস্কানি দিয়েছিলো।  কিন্তু নেতাজির পরিবার বরাবরই নেতাজির সম্মাননা কে সমর্থন জানিয়ে এসেছে।  নয়াদিল্লিতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা  কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামীর কন্যা অনিতা পা ফ।কিন্তু এবার টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে রাখা নেতাজির ছাই ভারতে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি আবার  চলে এসেছেন খবরের শিরোনামে । আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে বোসের ২৮ ফুটের মূর্তি উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার আগে পাফ তার এক বিবৃতিতে জানান যে তার বাবার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল স্বাধীন ভারতবর্ষ উপলব্ধি করার ।কিন্তু তার অকাল মৃত্যু তার  এই ইচ্ছাপূরণে বাধ সাধে। তাই তিনি বলেন যে তার বাবার দেহাবশেষ  অবিলম্বে ফিরিয়ে আনা হোক ভারতবর্ষে।  
 ৮ই সেপ্টেম্বর নেতাজি মূর্তি  উন্মোচন করবেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী - এবিষয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশও করেন।  
গত মাসে পিটিআই-এর সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছিলেন যে টোকিওর রেনকোজি মন্দিরে ভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ভারত এবং জাপান সরকারকে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।    
 সাম্প্রতিক এই সাক্ষাৎকারে  তিনি বলেন যে যখন স্বাধীন ভারতবর্ষ তার বাবার বীরত্বের স্বীকৃতি দিচ্ছে তখন কেন তার  বাবার মৃতদেহ এখনও টোকিওতে পড়ে থাকবে ? বাড়িতে আনা হবেনা ?

স্বাধীনতার পর, নেতাজির অন্তর্ধানের রহস্য উদঘাটনের জন্য কেন্দ্র তিনটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল।
এর মধ্যে দুটি - শাহ নওয়াজ কমিশন এবং খোসলা কমিশন।  কংগ্রেস সরকার গঠিত এই কমিশনগুলি তদন্ত করে  সিদ্ধান্তে আসেন যে নেতাজি  বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তৃতীয় কমিশনটি হলো বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার দ্বারা গঠিত মুখার্জি কমিশন।  যারা বলেছিল,  যে তিনি দুর্ঘটনায় মারা যাননি।
তবে তার অন্তর্ধান রহস্য সমাধানের জন্যই কি নেতাজি কন্যার এমন দাবি ? অপেক্ষা শুধু সময়ের।

আরও পড়ুনঃ

নেতাজির দেহাবশেষ ফিরিয়ে এনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হোক, স্বাধীনতা দিবসে আবেগঘন আর্জি মেয়ের

১০৩ বছর ধরে কলকাতাকে স্বাদ চেনাচ্ছে 'নেতাজীর দোকান'

 ইন্ডিয়া গেটের কাছে নেতাজির বিশাল মূর্তি, নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে উদ্বোধন আজ