সংক্ষিপ্ত

  • প্রায় একমাস আগে সংস্কার করা হয়েছে ইউএপিএ আইনের
  • এরপর বুধবার নতুন সন্ত্রাস বিরোধী আইন প্রথম প্রয়োগ করা হল
  • সরাসরি ভারতের জঙ্গি তালিকায় নাম উঠল মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদ দাউদ ইব্রাহিমদের
  • এতদিন এদের সরাসরি জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার আইনি উপায় ছিল না

পথ চলা শুরু হল নতুন সন্ত্রাস বিরোধী আইনের। জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ - এতদিন  এদের বিরুদ্ধেই জঙ্গি সংগঠন চালানোর অভিযোগ ছিল। কিন্তু তাদের সরাসরি জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার উপায় ছিল না। কিন্তু, গত মাসেই সন্ত্রাসবিরোধী ইউএপিএ আইনের সংস্কার করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর বুধবারই এদের ব্যাক্তি হিসেবে জঙ্গি ঘোষণা করল ভারত।

প্রথম দফায় ভারতের ঘোষিত জঙ্গি তালিকায় নাম রয়েছে মোট চার জনের। এরা হল জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ, অন্যতম লস্কর নেতা ও মুম্বই হামলার পরিকল্পনাকারী জাকির-ফর রহমান লকভি এবং ডি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা তথা ১৯৯৩ এর মুম্বই বোমা হামলার মূল চক্রী গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম। প্রথম তিন জনই পাক নাগরিক। দাউদ ভারতীয় হলেও এখন সে পাকিস্তানেই আছে বলে খবর রয়েছে।

আরও পড়ুন - বিমুদ্রাকরণেও হয়নি লাভ, রাজধানীর বুকেই দাউদের জাল নোটের ব্যবসা! গ্রেফতার নেপালি নাগরিক

আরো পড়ুন - পাক কাশ্মীরে মাসুদ আজহারের ভাই! অমরনাথ যাত্রীদের উড়িয়ে নিযে যাবে সি-১৭

আরো পড়ুন - ফের বিশ্বকে ধোকা পাকিস্তানের! পিঠ বাঁচাতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ভুয়ো এফআইআর

আরো পজড়ুন - হাফিজ সইদকে তহবিল জোগানোর মামলাতেও ঘুষ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনআইএ-র বিরুদ্ধে

এই চারজনের মধ্য়ে এর আগে ১৯৯৪ সালেই মাসুদ আজহারকে অনন্তনাগ থেকে গ্রেফতার করেছিল ভারত। কিন্তু ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি ভারতীয় বিমান অপহরণ করে কান্দাহারে নিয়ে যায় জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা। তারপর যাত্রীদের পণ হিসেবে ব্যবহার করে মাসুদ আজহারকে মুক্ত করেছিল।