সংক্ষিপ্ত
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যর পর গঠন করা হয়েছিল অরুণমুঘস্বামী কমিশন। নানান এনকোয়ারির পর সেই কমিশন থেকে উঠে আসে, জয়ললিতাকে ষড়যন্ত্র করে মার্ডার হয়েছে .
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মৃত্যর পর গঠন করা হয়েছিল অরুণমুঘস্বামী কমিশন। নানান এনকোয়ারির পর সেই কমিশন থেকে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের দাবি জয়ললিতার মৃত্যুর জন্য দায়ী তার তিন দশকের ছায়াসঙ্গী ভিকে শশীকলা। এবং শশীকলার এই কাজে তাকে মদত জুগিয়েছিলেন ডাঃ কেএস শিবকুমার ,হেলথ সেক্রেটারি জে রাধাকৃষ্ণন এবং তামিলনাড়ুর প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়াভাস্কর।
কমিশন একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানায় ," বিভিন্ন দিক থেকে বিবেচনা করে, ভি কে শশিকলাকে অভিযুক্ত করা ছাড়া কমিশন আর অন্য কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। তদন্তে উঠে এসেছে কেএস শিবকুমার, ডাঃ সি বিজয়বাস্কর এবং জে রাধাকৃষ্ণনের নাম , যাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। ":
কমিশন আরও বলেন যে ডাঃ ওয়াইভিসি রেড্ডি এবং ডাঃ বাবু আব্রাহাম প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করেছিলেন। এমনকি সুদূর ইউকে , আমেরিকা এমনকি মুম্বাই থেকেও ডাক্তার এনে তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। আপোলোর নিজস্ব ছাড়াও বাইরে থেকে আনা চিকিৎসকরাও এনজিও সার্জারি করার পরামর্শ দেন জয়ললিতাকে। এনজিও সার্জারিটি যাতে না হতে পারে সেইকারণে সার্জারির আগে সিরিঞ্জে নেওয়া ওষুধটি বাতাসেই ইনজেক্ট করা হয়। জয়ললিতার শরীরে নয়।
কমিশন সূত্রে খবর তদন্ত এখনও জারি থাকবে। জয়ললিতার চিফ সেক্রেটারি রমা মোহন রায়ের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অপরাধের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে কমিশন। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
কমিশন জয়ললিতার মৃত্যুর অফিসিয়াল ঘোষণাকেও চরম সমালোচনা করেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে " ঠিক কি হয়েছিল ২০১৬ র ৪ঠা ডিসেম্বর? জয়ললিতার যখন হার্ট এট্যাকে ভুগছিলেন ? কমিশনের তদন্তে উঠে আসে , সেদিন ৩.৫০ নাগাদ জয়ললিতাকে সিপিআর দেওয়া হচ্ছিলো এবং স্টারনোটমি ব্যায়াম করানো হচ্ছিলো এমন ঘোষণা করা হয় প্রথমে। কিন্তু আদতে তা ঘটেনি। এগুলো আসলে তার মৃত্যু সংবাদটি বিলম্বিত করার অজুহাত মাত্র।
কমিশন আরও বলে , " ও পনিরসেলভাম, মুখ্যমন্ত্রীর কাছের মানুষদের মধ্যে একজন ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কি হচ্ছে কি না হচ্ছে সব থাকতো তার নখদর্পনে। মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুর আগেই তার জীবদ্দশাতে তিনি সেদিন চলে যান মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে। আগামী মুখ্যমন্ত্রী হবার জন্য যে স্পিচ তিনি মিডিয়াকে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটাও যেন একেবারে তৈরী ছিল তার। তার আচরণে স্পষ্ট যে তিনি কোথাও আগাম জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী আজই প্রয়াত হচ্ছেন এবং তার স্থান তিনিই পাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে তামিলনাড়ুর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে অরুণমুঘস্বামী কমিশনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভি কে শশিকলা, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি বিজয়বাস্কর, প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব জে রাধাকৃষ্ণান এবং ডাঃ কে এস শিবকুমার -এদের বিরুদ্ধে যে চরম দোষারোপ হানছে কমিশন তার উপর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইন বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেবে রাজ্য।
আরও পড়ুনদাউদ আর হাফিজ সাইদকে কি ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে? এই প্রশ্নে ঠোঁটে আঙুল পাক প্রতিনিধির
আরও পড়ুন উমর খালিদের জামিন খারিজ, দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দাবি, আবেদনের কোনো যোগ্যতা নেই