সংক্ষিপ্ত

অরবিন্দ কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন , আছেন আর থাকবেন। তেমনই জানিয়েছেন দিল্লির এক মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী

 

লোকসভা ভোটের আগে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই তাঁর নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেরজিওয়ালকে। আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই গ্রেফতার করা হয়। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের পরই তাঁর মোবাইলফোন বাজেয়াপ্ত করাহয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ইডি একটি প্রেসনোটে জানিয়েছে, লিকার কেলেঙ্কারির ষড়যন্ত্রকারী হলেন কেজরিয়াল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এবার কে হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী?

অরবিন্দ কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন , আছেন আর থাকবেন। তেমনই জানিয়েছেন দিল্লির এক মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী। তিনি জেলে বসেই রাজপাট সামলাবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। তবে কেজরিওয়ালই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হল। অতিশী আরও বলেছেন, তাঁর দল আগে থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল প্রয়োজনে জেলে বসেই প্রশাসনের কাজকর্ম করবেন কেজরিওয়াল। তারা কোনও আইন মানবেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এমন কোনও আইন যে কেজরিওয়ালকে কাজ করতে বাধা দেবে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন কেজরিওয়ালকে এখনও দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। অতিশী আরও বলেছেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার কেজরিওয়াল। একাধিক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ইডি এখনও এক টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি বলেও জানিয়েছেন।

কী এই আবগারি কেলেঙ্কারি

বিআরএস নেত্রী কে কবিতা, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আপ নেতা মণীষ সিসোদিয়া ও সঞ্জয় সিং-কে মদ নীতির সঙ্গে জড়িয়ে মামলা তৈরি করেছে। এদের এই কেলেঙ্কারিতে ষড়যন্ত্রকারী বলে চিহ্নিত করেছিল। মদ নীতি নিয়ে ইডি বলেছিল, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দিল্লি আর দক্ষিণ ভারত। ইডি দক্ষিণের লবি বলেছিল। আরও বলেছিল, দক্ষিণ লবি আপকে ১০০ কোটি টাকা দেবে। কয়েকজন অভিযুত্ত ও সাক্ষীর বয়ান অনুযায়ী কেজরিওয়ালের নাম উঠেছিল। তাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, মদ নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত বিজয় নায়ার অধিকাংশ সময়ই কেজরিওয়ালের অফিসে কাটাতেন। কেজরিওয়ালের সঙ্গেও মদ নীতি নিয়ে আলোচনা করতেন। নায়ারই ইন্দোস্পিরিট মালিক সমীর মহেন্দ্রুকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়েছিলেন। এর আগে এই কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছে মণিষ সিসৌদিয়া ও সত্যেন্দ্র জৈনকে।