সংক্ষিপ্ত

দীর্ঘ ৫০ দিন পরে জেল থেকে মুক্তি পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বেরিয়ে কী কী জানালেন দেখুন।

 

দিল্লি বাতিল হয়ে যাওয়া মদনীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার ৫০ দিন পরে তিহার থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সমস্ত শক্তি গিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। সমস্ত ভারতীয়ে তাঁর সঙ্গে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুক্তি পাওয়ার পরে আম আদমি পার্টির প্রধান বজরংবলী ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শনিবার কি কি করবেন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন আপ প্রধান। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১১টায় নতুন দিল্লির কনটপ্লেসের একটি হমুমান মন্দির পরিদর্শন করবেন। দুপুর ১টায় আপ-এর অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন।

কেজরিওয়াল বলেন, 'আমি কি বলেছিলেন! আমি শীঘ্রই ফিরে আসব? আমি এখানে আছি। মি প্রথমে ভগবান হনুমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যার আশীর্বাদে আমি আজ আপনাদের মাঝে আছি। আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে তাই দেশের কোটি কোটি মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যারা আমাকে তাদের শুভেচ্ছা আর আশীর্বাগ পাঠিয়েছে, আমি আমার সর্ব শক্তি দিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কিন্তু আমি আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের সঙ্গে কাছেও কৃতজ্ঞ। '

 

 

মদনীতির মূল পাণ্ডা হসেবেই তাঁকে দেগে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তিনি মদ কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্ত বিজয় নায়ারের ঘনিষ্ট ছিলেন। গোটা পরিকল্পনাই হয়েছিল কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে। তেমনই আদালতের সওয়ালে বলেছে ইডির আইনজীবী। যদিও আম আদমি পার্টি বা বিরোধীদের বক্তব্য বিরোধীদের দুর্বল করতেই এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পরেই কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর গ্রেফতারি ও রিমান্ডের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। বলেছেন আদালতের নির্দেশ বেআইনি। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধানবিচারপতির কাছে জরুরি শুনানি চেয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা। কিন্তু কোনও জরুরি শুনানি হয়নি। স্বাভাবিক গতিতেই শুনানি হয়েছিল।