সংক্ষিপ্ত

এশিয়ানেট নিউজ টানেল নির্মাণ এবং উদ্ধার অভিযানে ব্যবহৃত বড় মেশিন এবং কম্প্রেসার মেশিনের মালিক শৈলেশ গুলাটির সাথে কথা বলেছে। তিনি জানান, শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য যে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে তা প্রায় শেষের দিকে।

১২ নভেম্বর থেকে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার সিল্কিয়ারায় নির্মাণাধীন টানেলে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের অভিযান চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের বের করে আনার কথা থাকলেও খননের সময় লোহার ধ্বংসাবশেষ সামনে আসায় খনন করার মেশিনটি বন্ধ হয়ে যায়। দিল্লির বিশেষজ্ঞদের দল মেশিনটির মেরামতি করেন দ্রুত। তারপরে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলা হয়। আবার ড্রিলিং শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত শ্রমিকদের বের হওয়ার সুসংবাদ মিলবে।

এশিয়ানেট নিউজ টানেল নির্মাণ এবং উদ্ধার অভিযানে ব্যবহৃত বড় মেশিন এবং কম্প্রেসার মেশিনের মালিক শৈলেশ গুলাটির সাথে কথা বলেছে। তিনি জানান, শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য যে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে তা প্রায় শেষের দিকে। আর মাত্র ৫-৬ মিটার খনন করতে হলেও লোহার ধ্বংসাবশেষ সামনে চলে আসায় খনন বন্ধ করতে হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে রয়েছে লোহার পাইপ ও রড। মেশিনের দুটি পাইপ বাঁকানো ছিল। দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি দল এসেছিল, তারপরে মেশিনটি মেরামত করা হয়েছিল। আবার শুরু হয়েছে খনন কাজ। শীঘ্রই সুখবর পেতে পারে।

শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শেষ

গুলাটি বলেন, শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা ছয় ইঞ্চি চওড়া খাদ্য পাইপ দিয়ে খাবার পাঠাচ্ছি। কয়েক সপ্তাহ ধরে। ৮০০ মিলিমিটার পাইপ বিছানোর জন্য যে খনন করা হচ্ছে তা ব্যাহত হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এতদিনে কাজ শেষ হয়ে যেত। কবে খনন কাজ শেষ হবে তা এখনই বলা মুশকিল। দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শের পরে, কীভাবে এগোনো হবে, তা ঠিক করা হয়।

টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের আপাতত ঠিক রয়েছেন

গুলাটি বলেন, "ভিতরে আটকে পড়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। খাবার দেওয়ার জন্য ঢোকানো পাইপের মাধ্যমে কথাবার্তা হচ্ছে। কণ্ঠস্বর স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। ক্যামেরা বসিয়ে ভিতরের অবস্থা দেখা গেছে। তাদের অবস্থা ভালো। তবে তাদের মানসিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। শ্রমিকদের সম্পূর্ণ খাবার দেওয়া হচ্ছে। আমরা দড়ি বসিয়েছি। এর সাহায্যে খাবার পাঠানো হচ্ছে। আগে শুধু শুকনো ফল দেওয়া হত, এখন রুটি-ভাতের মতো সম্পূর্ণ খাবার দেওয়া হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।