সংক্ষিপ্ত

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপরে আক্রমণ নতুন কিছু নয়। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবার যেভাবে এই আক্রমণের নয়া নিদর্শন খাড়া করল তাতে হতবাক দেশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

 

রাজনীতির কারবারিদের তাণ্ডবের শিকার হল এশিয়ানেট নিউজ। সংস্থার কোচি অফিসে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালাল প্রায় শখানেক এসএফআই সদস্য। অফিসের মধ্যে গায়ের জোর খাটিয়ে প্রবেশ করে দেওয়া হয় স্লোগান। যার মূল নিশানায় ছিল এশিয়ানেট নিউজ। কোচিতে এশিয়ানেট নিউজ সংস্থার দফতরে সদর গেটে উত্তেজিত এসএফআই কর্মী ও সমর্থকদের আটকানোর চেষ্টাও করেন নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু, তাকে প্রায় ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়েই অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে এসএফআই-এর কর্মীরা।

অফিসে ঢুকে পড়া এসএফআই ছাত্রনেতাদের হাতে ছিলে বিশাল ফেস্টুন। তাতে আবার এশিয়ানেট নিউজের লোগোতে লাল কালি-তে ক্রস দেওয়া। এসএফআই-এর উত্তেজিত ছাত্রনেতারা এশিয়ানেট নিউজের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ আনে। যদিও, এই নিয়ে কোনও প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি। এসএফআই-এর কর্মী ও সমর্থকরা অফিসের মধ্যে ঢুকে চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকে। এমনকী অফিসে কর্মরত সাংবাদিকদেরও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে অফিসে আটকে থাকা কর্মীদের উদ্ধার করে। কিন্তু এরপরও এসএফআই-এর কর্মী-সমর্থকরা থামেননি। পুলিশের সামনেই তারা স্লোগান দিতে থাকে।

পরে পুলিশ বিক্ষোভরত ছাত্রনেতাদের এশিয়ানেট নিউজের দফতর থেকে বের করে আনে। পালারিভাট্টাম পুলিশ থানায় এসএফআই ছাত্রদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন কোচির রেসিডেন্সিয়াল এডিটর অভিলাস জি নায়ার। পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন বিক্ষোভের জেরে অফিসে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এবং অভিযুক্তরা শুধু অফিসেই ঢোকেনি, সেই সঙ্গে গায়ের জোর প্রয়োগ করে অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

গোটা ঘটনাই নাড়া দিয়েছে দেশ জুড়ে সাংবাদিককুলকে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া এবং গায়ের খাটিয়ে যে সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা যায় না বলেও টুইটারে মন্ত্বব্য করে।