আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে রাজ্য সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে "কোনো আপস ছাড়া সরাসরি পদক্ষেপ" নেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে অবিলম্বে বহিষ্কারের আদেশ জারি করতে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন যে রাজ্য সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে "কোনো আপস ছাড়া সরাসরি পদক্ষেপ" নেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে অবিলম্বে বহিষ্কারের আদেশ জারি করতে। অর্থাৎ অবৈধ অভিবাসীদের দেখা মাত্রই দেশ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়ার নীতি নিয়েছে অসম সরকার।
অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কড়া অসম
গুয়াহাটিতে এই বিষয়ে কথা বলার সময় এবং এক্স-এ একটি পোস্টের মাধ্যমে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে শর্মা বলেন, সমস্ত ডেপুটি কমিশনারদের (ডিসি) সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী বা ট্রাইব্যুনাল দ্বারা ইতিমধ্যে বিদেশী ঘোষিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিসি-রা যাকে সন্দেহজনক মনে করবেন, বা ট্রাইব্যুনাল যাকে বিদেশী ঘোষণা করেছে, তাকে অবিলম্বে বহিষ্কারের আদেশ জারি করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের আদেশ জারি হয়ে গেলে, পুলিশ এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি তাদের বাংলাদেশে নির্বাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
“সরাসরি পদক্ষেপ | কোনো আপস নয়” শিরোনামের পোস্টে শর্মা বলেছেন যে সরকার জনস্বার্থ রক্ষার জন্য আইনি বিধান মেনেই কাজ করছে। তিনি বলেন, “অবৈধ অভিবাসী (বহিষ্কার) আইনের বিধান অনুসারে, আমরা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বহিষ্কারের আদেশ জারি করছি।”
দ্য ইমিগ্র্যান্টস (এক্সপালশন ফ্রম আসাম) অ্যাক্ট, ১৯৫০, রাজ্য সরকারকে সেইসব অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা দেয় যাদের রাজ্যে থাকা “সাধারণ মানুষের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর” বলে মনে করা হয়। এই আইনটি প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে শনাক্তকরণ এবং বহিষ্কারের জন্য আইনি কাঠামো প্রদান করে।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য আসাম সরকারের অবৈধ অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলার নতুন উদ্যোগকে তুলে ধরেছে, যা রাজ্যের, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে একটি রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল বিষয়।
