আসামের নগাঁও জেলায় হাতির পালে ধাক্কা মারে রাজধানী এক্সপ্রেস, যার ফলে আটটি হাতির মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিন এবং পাঁচটি কোচ লাইনচ্যুত হলেও যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত। 

আবারও ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু। এবার ঘটনাস্থল অসম। আসামের নগাঁও জেলায় শনিবার ভোরে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। নয়াদিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস একটি হাতির পালে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের ইঞ্জিন এবং পাঁচটি কোচ লাইনচ্যুত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনের সমস্ত যাত্রী সুরক্ষিত আছেন।

ঘটনাটি ঘটে ২০ ডিসেম্বর ভোর ২ টো ১৭ নাগাদ। দুর্ঘটনাটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে লামডিং ডিভিশনের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে ঘটে। ২০৫০৭ ডিএন সাইরাং - নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্র্যাকে হাতির পাল দেখতে পেয়ে লোকো পাইলট জরুরি ব্রেক কষলেও দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি। ট্রেনটি সোজা হাতির পালে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনাস্থল গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি হাতিদের চলাচলের জন্য চিহ্নিত কোনো বিশেষ করিডোর নয়।

যাত্রীরা সুরক্ষিত; মৃত্যু আট হাতির

দুর্ঘটনার তীব্রতা মারাত্মক হলেও, স্বস্তির বিষয় হলো ট্রেনের কোনো যাত্রী বা রেলকর্মী আহত হননি। তবে, রেললাইনে থাকা আটটি হাতির প্রাণ যায়। লাইনচ্যুত কোচের যাত্রীদের ওই ট্রেনেরই অন্য খালি আসনে সরিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনার পর লামডিং ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টার থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার এবং লামডিং ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার নিজে উপস্থিত থেকে উদ্ধারকাজের নেতৃত্ব দেন।

লাইনচ্যুত কোচগুলো আলাদা করার পর ভোর ৬:১১ নাগাদ ট্রেনটি গুয়াহাটির দিকে রওনা দেয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুয়াহাটিতে পৌঁছানোর পর সমস্ত যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত কোচ লাগিয়ে ট্রেনটি নয়াদিল্লির দিকে যাত্রা করবে। দুর্ঘটনার কারণে এই রুটের অন্যান্য ট্রেনগুলিকে 'আপ লাইন' দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। রেল জানিয়েছে, লাইনের নিরাপত্তা পরীক্ষার পর স্বাভাবিক যানচলাচল পুনরায় শুরু করা হবে। 

যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনদের তথ্যের জন্য গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে: 0361-2731621, 0361-2731622 , 0361-2731623