সংক্ষিপ্ত
এই পতন শতাব্দী প্রাচীন দলের জন্য সামনের পথে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এটি কি গান্ধীদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দিকে নিয়ে যাবে নাকি বৃহত্তর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের সূচনা করবে?
বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly elections 2022) ভোটগণনায় (Counting) ভরাডুবি কংগ্রেসের (Congress)। এই পতন শতাব্দী প্রাচীন দলের জন্য সামনের পথে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এটি কি গান্ধীদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের দিকে নিয়ে যাবে নাকি বৃহত্তর অভ্যন্তরীণ সংস্কারের সূচনা করবে?
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রার জনসভাগুলি একটি আলোচনার পয়েন্ট হয়ে উঠলে, এখন কি গান্ধী ভাইবোনদের মধ্যে কাজের বৃহত্তর বিভাজন হবে নাকি সাংগঠনিক নির্বাচনের সময় সেপ্টেম্বরে দলটি অ-গান্ধীকে তার সভাপতি হিসাবে নির্বাচন করবে? কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন যে দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী শীঘ্রই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলগুলি বিশ্লেষণ করার জন্য কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) একটি সভা (Congress Working Committee) ডাকবেন, তবে এই সভায় অভ্যন্তরীণ অশান্তির ইঙ্গিত জোরালো হয়ে উঠেছে (Committee to meet soon)।
লোকসভা সাংসদ শশী থারুরের বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট। তিনি টুইট করেছেন,কংগ্রসকে যদি টিকিয়ে রাখতে হত তাহলে দলে রদবদল আনতেই হবে। দলের ভিতরে ও বাইরে যে দাবিগুলি উঠছে সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। দলের সকলের কথায় গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেছেন এখনও পর্যন্ত তাদের মত অনেকেই জাতীয় কংগ্রেসের ওপর আস্থা রাখতে চান- কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল থেকে দল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব না। তিনি আরও বলেছেন কংগ্রেস যে অবস্থায় এসে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে দেশের জন্য ইতিবাচক এজেন্ডা নেওয়া আর লড়াই করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেছেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যা দলের কর্মী ও দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করে।
উত্তর প্রদেশ থেকে গোয়া সর্বত্রই ধরাশায়ী কংগ্রেস।এই অবস্থায় G-23 নেতারা আরও একবার গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হবেন বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের দাবি একটা- কংগ্রেসে বর্তমানে একজন স্থায়ী সভাপতির প্রয়োজন রয়েছে। একের পর এক নির্বাচনে হার সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন গান্ধীদের আবারও মনে করিয়ে দেবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তনই আনতে পারেনি কংগ্রেস।
বিজেপি-র এই জয়জয়কারের মধ্যেও সবথেকে বেশি চর্চা চলছে কংগ্রেসকে নিয়ে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের এই করুণ অবস্থা ভাবাচ্ছে সকলকেই।