সংক্ষিপ্ত
অযোধ্যার মন্দিরের ভগবান রামের মূর্তি তৈরি করতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছেন মুসলমান শিল্পী।
কেবলমাত্র ভারত দেশটিই নয়, সমগ্র বিশ্বের কাছে অত্যন্ত চমকপ্রদ হতে চলেছে অযোধ্যার নবনির্মিত রাম মন্দির। আকারে, জাঁকজমকে এমনকি অভূতপূর্ব শিল্পকর্মেও সমস্ত মানুষকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে এই মন্দির। রাম মন্দির উদ্বোধনের আর বেশিদিন বাকি নেই। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হবে এই মন্দিরের। এখানেও রয়েছে আরও বড় চমক। তা হল, রাম মন্দিরে ভগবান শ্রী রামের যে মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে, তা তৈরি করেছেন পশ্চিবমঙ্গের দুই ভাস্কর। তবে, শুধু বঙ্গযোগেই চমকের শেষ নয়। আরও বড় বিষয় হল, এই দুই শিল্পীর ধর্ম হিন্দুও নয়, তাঁরা ইসলাম ধর্মের মানুষ।
-
বাংলার উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা দুই ভাস্কর্য- শিল্পীর নাম মহম্মদ জামালউদ্দিন এবং তাঁর পুত্র বিট্টু। সম্পর্কে বাবা ও ছেলে, এই দুই শিল্পী নিজেদের শিল্পকাজের নমুনা প্রকাশ করেছিলেন অনলাইনে। সেই সূত্র ধরেই তাঁদের কাছে পৌঁছে যায় অযোধ্যায় রামের মূর্তি নির্মাণের বরাত। যে মন্দির নির্মাণ করার আগে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে মারামারি- হানাহানি পৌঁছেছিল চরমে, সেই মন্দিরই আবার মিলিয়ে দিল দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে।
-
রামের মূর্তি নির্মাণের ক্ষেত্রে শিল্পী মহম্মদ জামালউদ্দিন জানিয়েছেন যে, 'মাটির তুলনায় ফাইবারের মূর্তি সবসময়েই খরচ সাপেক্ষ। তবে আউটডোর ইনস্টলেশনের ক্ষেত্রে ফাইবারই ভালো। এই মূর্তিটি তৈরি করতে প্রায় ২.৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
-
তবে, একজন মুসলমান মানুষ হয়ে হিন্দু ধর্মের মন্দিরের জন্য মূর্তি নির্মাণের বিষয়ে শিল্পীদ্বয়ের কী মত? বরিষ্ঠ কারূশিল্পী জানিয়েছেন যে, তিনি শুধুই একজন শিল্পী। শিল্পী হিসেবে এটা তাঁর কাছে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা। সাম্প্রদায়িক বিভেদের এই পরিস্থিতিতে মানুষকে আরও বেঁধে বেঁধে থাকতে হবে। ধর্ম হল একটি ব্যক্তিগত বিষয়। অনেক ধর্মের মানুষই আমাদের দেশে বাস করেন। ভগবান রামের মূর্তি তৈরি করতে পেরে খুবই আনন্দিত তিনি।
আরও পড়ুন- Ayodhya Ram Mandir: পাঁচতারা হোটেলের মতো তাঁবু, আজ থেকেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী দেখার বুকিং শুরু
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।