সংক্ষিপ্ত
রাম মন্দির নির্মাণের কাজ এই মুহূর্তে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে। ভক্তরা সকলেই অপেক্ষা করছেন কবে খুলবে মন্দিরের দরজা। এশিয়ানেট নিউজ-এর এক বিশেষ প্রতিবেদন 'দ্য সাগা অফ অযোধ্যা: আ নিউ এরা ডনস'।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণে এমন এক স্থাপত্যশৈলী-কে অনুসরণ করা হচ্ছে যা বিশ্বের কাছে এই বিষ্ময় হবে বলেই দাবি করেছে মন্দির নির্মাণের নেতৃত্বে থাকা ট্রাস্ট। রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে তুলে ধরেছিল এশিয়ানেট নিউজ। বছর খানেক আগের সেই ভিডিও প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছিল কীভাবে কর্ণাটক থেকে শুরু করে রাজস্থান সমস্ত জায়গা থেকে মার্বেল এনে তৈরি হচ্ছে মন্দির! কীভাবে কাজ করছেন নির্মাণকর্মীরা। এমনকী রাম মন্দির নির্মাণের পুরো স্থাপত্যের খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের দর্শন কেমন করে হবে এবং কত জন ভক্ত একসঙ্গে এই গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন খুব সহজে সেই তথ্যও তুলে ধরেছিল এশিয়ানেট নিউজ। মন্দির নির্মাণের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত আইএএস নৃপেন্দ্র মিশ্র নিজে ঘুরে ঘুরে এশিয়ানেট নিউজকে দেখিয়েছিলেন মন্দির নির্মাণের অগ্রগতির কাজ।
এমনকী, এই রাম মন্দির নির্মাণের শিল্পী থেকে শুরু করে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে থাকা রাম ভক্তদের সঙ্গেও কথা বলেছিল এশিয়ানেট নিউজ। আর তাদের সেই সব বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছিল এশিয়ানেট নিউজের ভিডিও প্রতিবেদনে। রাম মন্দির নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে এবার এশিয়ানেট নিউজের তৃতীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর জন্য তৈরি হয়েছে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র। যেখানে রাম মন্দির নির্মাণের শুরুর সময় থকে বর্তমানে কোনস্থানে রয়েছে নির্মাণ কাজ- তার পুরো তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত যা ঠিক তাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ খুলে দেওয়া হবে ভক্তদের জন্য। যার ফলে বহু প্রতিক্ষীত রামলালা-র দর্শনের সুযোগ পাবেন ভক্তরা। এর জন্য অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণস্থলে জোরকদমে কাজ চলছে। তবে, মন্দির নির্মাণের পুরো কাজ শেষ হবে ২০২৪ লেগে যাবে আগেও জানিয়েছিল ট্রাস্ট। এখনও তারা তেমনই জানিয়ে রেখেছেন। রাম মন্দিরের রাম-সীতার মূর্তি তৈরি হচ্ছে ৬ কোটি বছরের পুরনো শালগ্রাম শিলা দিয়ে। নেপালের কালী গণ্ডকী নদী থেকে এই শালগ্রাম শিলা কয়েক মাস আগেই অযোধ্যায় পৌঁছেছে। ২.৭-এক জমির উপরে রাম মন্দিরের আয়তন দাঁড়াবে ৫৭ হাজার ৪০০ স্কোয়ার ফিটের।
এর আগে ২০২২-এর অক্টোবরে এশিয়ানেট নিউজ তুলে ধরেছিল গর্ভগৃহ নির্মাণের কাজ। সেই সময় আমরা দেখিয়েছিলাম যে কীভাবে কারুকাজ করা হচ্ছে বংশীপাহাড়পুর পাথরে। রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে এই বংশীপাহাড়পুর পাথর। ইতিমধ্যে প্রায় নির্মাণ কাজের অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিভিন্ন স্থানে জানিয়েছিলেন যে ২০২৩-এর শেষে অথবা ২০২৪-এর শুরুতেই আংশিকভাবে রাম মন্দির খুলে দেওয়া হবে ভক্তদের জন্য।
আরও পড়ুন-
রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর রাশিয়ার মিগ ২১ বিমান আপাতত বাতিল রাখল ভারতীয় বিমান বাহিনী IAF
G7 Summit 2023: জো বাইডেনের থেকেও এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী, জি৭ সম্মেলনে গ্রহণযোগ্যতায় ভারতের জয়জয়কার
Anubrata Mondal: তিহাড় জেলে ফের মুখোমুখি অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল, কী কথা হল বাবা-মেয়ের মধ্যে?