সংক্ষিপ্ত
ভিএইচপি বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির এবং দেবীমূর্তির ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাল। এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে পরিষদ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad) বা ভিএইচপি (VHP) বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির এবং দেবীমূর্তির (divine icons of Hindus) ওপর হামলার (attacks on temples) ঘটনার তীব্র নিন্দা(strongly condemned) জানাল। এক প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে পরিষদের দাবি অবিলম্বে বাংলাদেশী হিন্দুদের ওপর আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে শেখ হাসিনা সরকারকে। এরই সঙ্গে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে ভিএইচপি।
ভিএইচপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মিলিন্দ পরান্দে বলেছেন, রাতের অন্ধকারে, চট্টগ্রাম ডিভিশনের কুমিল্লা এলাকায় একটি দুর্গাপূজা প্যান্ডেলে যেভাবে হামলা চলেছে, তা ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলাকারীরা বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজার প্যান্ডেলগুলি ছিঁড়ে ফেলে ও এতে হিন্দু সমাজের ধর্মীয় ভাবাবেগ ধাক্কা খায়। এই ঘটনা বরদাস্ত করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর এই হামলার ঘটনায় ৩জন মারা গিয়েছেন। স্থানীয় চরমপন্থী ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর কাছ থেকে এই ধরনের হামলা চালানোর হুমকি আগেও মিলেছিল। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একই সুর তুলেছে কলকাতার পুজোকমিটিগুলোও। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পুজো কমিটিগুলির বার্তা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় দূর্গা মন্ডপগুলিতে এবং মাতৃ প্রতিমার উপর যেভাবে মৌলবাদী হামলা সংঘটিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে কলকাতা। বৃহস্পতিবার ৭টা থেকে ৭.১০ মিনিট পর্যন্ত মোমবাতি নিয়ে নীরব প্রতিবাদের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে একাধিক প্যান্ডেলে চলেছে দুষ্কৃতী তান্ডব। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল এবং প্রতিমার ওপর হামলার একাধিক ঘটনার খবর মিলেছে বাংলাদেশ থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের অন্তত তিনটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হামলায় মারা গিয়েছেন তিনজন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল। নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই।
কুমিল্লার নানুয়া দীঘিতে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। সেখানে একটি দুর্গা পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। দেবী দুর্গার পাদদেশে পবিত্র কোরান রাখা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই হামলা চলে। জানা যায় প্রতিমাটি একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কোরান রাখার খবর ছড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ। উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি শেয়ার হতে থাকে। এরপরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।