সংক্ষিপ্ত
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতকে যে ইতিবাচক চোখে দেখছে না তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার যেমন রয়েছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনই বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই হতে চলেছে আতঙ্কবাদীদের স্বর্গরাজ্য।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতকে যে ইতিবাচক চোখে দেখছে না তা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার যেমন রয়েছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনই বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই হতে চলেছে আতঙ্কবাদীদের স্বর্গরাজ্য। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না দিল্লি।
বর্তমানে বাংলাদেশের নানান ধরনের অবস্থান চিন্তা বাড়াচ্ছে দিল্লির। এই অবস্থায় ভারতীয় সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বড় উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। মোদি সরকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল ভারতীয় সেনার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে।
এমন টালমাটাল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ১২টি সু-৩০ এমকেআই ফাইটার জেট এবং ১০০টি কে-৯ বজ্র সেল্ফ প্রপেলড হাউৎজ়ার কিনতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনার সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। ইতিমধ্যেই দুটি প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়।
জানা যাচ্ছে, নাসিকে তৈরি হতে পারে যুদ্ধবিমানের ৬২.৬ শতাংশ। অন্যদিকে, গুজরাটে তৈরি করা হবে ১০০টি সেল্ফ প্রপেলড হাউৎজার। বিশ্ব বিখ্যাত সংস্থা লারসেন অ্যান্ড ট্রুব্রো প্রপেলড হাউৎজার তৈরির বরাত পেয়েছে। সূত্রের খবর, হাইৎজার গানের ওজন হবে ৫০ টন মতো। হাইৎজার গান ৪৩ কিলোমিটার দূর থেকে ৪৭ কেজি বোমা প্রেরণ করতে সক্ষম।
প্রকল্প দুটিতে মোদি সরকার খরচ করতে চলেছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এএনআই সূত্রে খবর, প্রকল্প দুটির জন্য ইতিমধ্যেই স্বাক্ষরিত হয়েছে চুক্তি। হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আনুমানিক ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার খরচ হতে পারে এই প্রকল্পের জন্য।