সংক্ষিপ্ত

মধ্যপ্রদেশ ATS-এর মতে, অভিযুক্তরা জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। এরা ভারতে জামাতের স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করত। 

মধ্যপ্রদেশের ভোপালে (Bhopal) গ্রেফতার হওয়া ছয়জন সন্দেহভাজন জঙ্গির মধ্যে ৪জনই বাংলাদেশী নাগরিক (Bangladesh nationals) বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার এদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের (14 days) পুলিশ হেফাজতের (police custody) নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে, মধ্যপ্রদেশ ATS-এর মতে, অভিযুক্তরা জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত। এরা ভারতে জামাতের স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করত। 

শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ওই সন্দেহভাজন জঙ্গিরা আইসবাগ থানা থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ফাতিমা মসজিদের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে বন্দুক, বিস্ফোরক সামগ্রী এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র জানায়, এই অভিযানের পাশাপাশি শহরের বাইরের করন্দ এলাকায় আরেকটি অভিযান চালানো হয় যেখানে স্থানীয় মডিউল জঙ্গিদের  আটক করা হয়।

অজ্ঞাত স্থানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা সংস্থা। একজন প্রতিবেশী, শাইদ বলেছেন যে প্রায় ৬০ জন পুলিশ কর্মী বিকেল তিনটে নাগাদ ওই এলাকায় পৌঁছে যায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তারা। গুলি করে দরজার সিল খুলে সব জিনিস বাজেয়াপ্ত করে। 

মধ্যপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা অভিযুক্তদের থাকার জায়গা থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ, সাহিত্যের বই, ল্যাপটপ উদ্ধার করে। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে অভিযুক্তরা এলাকায় একটি আস্তানা তৈরি করেছিল এবং একটি বড়সড় নাশকতা চালানোর ছক ছিল জঙ্গিদের। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন সিমি (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া) এর সাথে তাদের সংযোগও তদন্ত করছে পুলিশ।

জানা গেছে যে সিমি জঙ্গিদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। জঙ্গিদের সন্দেহভাজন গতিবিধি সম্পর্কে খবর পেয়ে ATS অভিযান চালায়। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত জঙ্গিরা গত তিন মাস ধরে ওই অঞ্চলে বাড়ি ভাড়া করেছিল। অভিযানে প্রায় ৫০-৬০ জন পুলিশ কর্মী নামেন। এই জঙ্গিরা সংগঠনের স্লিপার সেল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের থেকে মূল সংগঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছে এটিএস।