সংক্ষিপ্ত

হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফর করেছিলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর ভারতে চার দিনের সফরে দিল্লি পৌঁছেছেন। সফরকালে, হাসিনা বহুমুখী সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে দেখা করবেন এবং জল ব্যবস্থাপনা, রেলপথ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো ক্ষেত্রে অন্তত সাতটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভাইস প্রেসিডেন্ট জগদীপ ধনকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফর করেছিলেন। এবারের সফরে তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডাঃ এস জয়শঙ্করের সাথেও দেখা করবেন।

বৃহস্পতিবার, তিনি শ্রদ্ধেয় সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ দেখতে রাজস্থানের আজমিরে যাবেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করেছেন, "বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নয়াদিল্লিতে তার আগমনে কেন্দ্রের তরফে উষ্ণ অভর্থনা জানানো হয়েছে। এই সফর দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।"

কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই) আয়োজিত একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন।

শেখ হাসিনার প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী  মোজাম্মেল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর একেএম রহমান।

মোমেনের মতে, হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে আলোচনায় নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর জল বণ্টন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ সংক্রান্ত বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে। ।

মোমেন আরো বলেন, সফরে জল ব্যবস্থাপনা, রেলওয়ে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ঢাকা আশা করে যে এই উচ্চ-পর্যায়ের সফর লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে" অত্যন্ত সফল হবে।

সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনৈতিক ইতিহাস, ভাষা ও ধর্ম ইত্যাদিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক খুব একটা ঘনিষ্ঠ বা বিরোধমুক্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের একটি দিশা দিয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক চুক্তি হয়েছে।