ধৃতরা যে ঘরে ছিলেন সেই ঘর থেকে যে সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে তা থেকে আন্দাজ করা হচ্ছে ওই ঘরের মধ্যে পর্নোগ্রাফি তৈরির পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্তরা । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মীন আখতারকে জেরা করে জানা গিয়েছে,বাংলাদেশ থেকে অসমে পালিয়ে এসেছেন ওই যুবতী ।

বাংলাদেশ থেকে এসে পর্নোগ্রাফি শুট করতে এসেছিলেন । অসমের গুয়াহাটি থেকে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি মহিলা সহ তিন। প্রশাসন সূত্র খবর, সোমবার গুয়াহাটি পুলিশের একটি দল শহরের এক হোটেল হানা দেয়। হোটেল থেকে স্থানীয় দুই ব্যক্তি ও এক বাংলাদেশি মহিলাকে পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডিসপুর পুলিশের নেতৃত্বে চলে এই অভিযান । গোপন সূত্র থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই হোটেলকে তিনজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তিরা হলেন শফিকুল ও জাহাঙ্গীর। অভিযু্ক্ত দু’জনেই অসমের বাসিন্দা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বছর ২২ বছরের বাংলাদেশি যুবতী মীন আখতারকেও। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তিনজনকেই পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, তিন ধৃত গুয়াহাটির সুপার মার্কেট এলাকার একটি হোটেলে ঘর বুক করেছিলেন তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে । খবর জেনে গিয়ে হোটল থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা যে ঘরে ছিলেন সেই ঘর থেকে যে সমস্ত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে তা থেকে আন্দাজ করা হচ্ছে ওই ঘরের মধ্যে পর্নোগ্রাফি তৈরির পরিকল্পনা করছিল অভিযুক্তরা । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মীন আখতারকে জেরা করে জানা গিয়েছে, বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে অসমে পালিয়ে এসেছেন ওই যুবতী । আরও জানা গিয়েছে, একাই নানা কৌশলে বর্ডার পর্যন্ত এসে চাকরির নামে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন ওই ধৃত মহিলা। তবে বাংলাদেশি মহিলা ও দুই ব্যক্তির সঙ্গে আরও কেউ এই চক্রে জড়িত কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আরও বড় কোনও চক্র জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে । গোটা ঘটনা নিয়ে চুলচেরা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।