সংক্ষিপ্ত
রাহুল গান্ধী আরও বলেন 'মোদী যুগে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়েছে। ৭৫ বছরে ভারতের জনগণের টাকা নিয়ে এমন জালিয়াতি আর কখনও হয়নি।' সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন লুঠ ও প্রতারণার এই দিনগুলি শুধুমাত্র মোদীর বন্ধুদের জন্যই ভালো দিন।
উত্তর প্রদেশের (UP Elections 2022) দ্বিতীয় দফা ও গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের (Goa Election 2022) আগের দিনই কেন্দ্রের মোদী সরকারের (Modi Govt) বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Congress Leader Rahul Gandhi) । এদিন তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বন্ধুদের জন্যই শুধুমাত্র বিজেপি সরকারের আমলেই ৫.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুদের জন্যই এই ভালো দিন এসেছে ভারতে।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন 'মোদী যুগে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়েছে। ৭৫ বছরে ভারতের জনগণের টাকা নিয়ে এমন জালিয়াতি আর কখনও হয়নি।' সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন লুঠ ও প্রতারণার এই দিনগুলি শুধুমাত্র মোদীর বন্ধুদের জন্যই ভালো দিন। তিনি হ্যাশট্যাগ করে বলেন কিস্কে দিন। রাহুলের এই বার্তা মোদী সরকারের 'আচ্ছে দিন' স্লোগানের তীব্র সমালোচনা করছেন।
সম্প্রতি সামনে এসেছে গুজরাটে এবিজি শিপইয়ার্ডের ২২ কোটি ৮৪২ টাকার প্রতারণ। এই প্রতারণার তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। এই জালিয়াতিকাণ্ডকে হাতিয়ার করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি এটি ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক জালিয়াতি।
সোমবার গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। একই সঙ্গে উত্তর প্রদেশেও দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধীর কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশন ভোট প্রচারে কিছু শিথিল করেছিল রাজনৈতিক দলগুলির জন্য। শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলি সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোট প্রচার করতে পারবে। এতদিন পর্যন্ত সকাল ৮টা রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট প্রচারের সময় সীমাবদ্ধ ছিল। কোভিড সংক্রমণের কারণে গত ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল উত্তর প্রদেশ গোয়া, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব ও মণিপুরে ভোট প্রচারের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছিল। ভোটের রাজ্যগুলিতে জনসভা, মিছিল মিটিংয়ের ওপর জারি করা হয়েছিল কোভিড বিধি।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি আরও একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী সর্বাধিক ১ হাজার মানুষ নিয়ে যে কোনও জনসভার আয়োজন করা যাবে। আগে সর্বাধিক ৫০০ জনকে নিয়ে খোলা জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই সংখ্যাই আরও বাড়িয়ে দিল নির্বাচন ।
নতুন নির্দেশিকায় কমিশন ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারের নিয়মও শিথিল করেছে। আগে সর্বাধিক দশ জনকে নিয়ে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। এবার সেই সংখ্যাই বাড়িয়ে কুড়ি করা হয়েছে। অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের জন্য একসঙ্গে ২০ জন যেতে পারেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রবণতা পর্যালোচনা করতে নির্বাচন কমিশন পাঁচ রাজ্য, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড ও গোয়ার স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যের কোভিড -১৯ রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত করেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা সব রাজ্যেই ধীরে ধীরে কমছে। তাতে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত নির্বাচন কমিশন।
'পঞ্জাব কংগ্রেসের দলীয় সমস্যা কোথায়', ভোটে আগে বললেন অভিমানি সিধু
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সতর্ক করল আমেরিকা, পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে
প্রবাসী তিব্বতিদের ওপর নজর চিনের, স্পাইওয়ারের মাধ্যমে আড়ি পাতছে বেজিং