সংক্ষিপ্ত
- মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
- এই ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ান
- সর্বভারতীয় সাধারণ ব্যাংক ইউনিয়ন এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে
- সমস্ত ব্যংকের কর্মচারীদের এদিনে কাজে যোগদান না করার আবেদন জানানো হয়েছে
মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য, সারা দেশ জুড়ে বন্ধ থাকবে ব্যাংকের পরিষেবা। এই ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়ে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ান। সর্বভারতীয় সাধারণ ব্যাংক ইউনিয়ন এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজস অ্যাসোসিয়েশন (এআইইবিইএ) এবং ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (বিএফআই) ব্যাংক ইউনিয়ন সদস্যদের ৮ জানুয়ারি বুধবার কাজে যোগদান না করার আবেদন জানিয়েছে। এই ব্যাংক ধর্মঘটের ফলে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় এবং এটিএমগুলিতে সাধারণ পরিষেবাগুলি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজকোষে টান, ঘাটতি মেটাতে টেলিকম সংস্থার বকেয়ায় নজর মোদী সরকারের
এনইএফটি, আইএমপিএস এবং আরটিজিএস স্থানান্তরের মত নেটব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি চালু থাকবে। অনলাইন এনইএফটি ট্রান্সফারের চার্জ আরবিআই কর্তৃক ছাড় দেওয়া হয়েছে এবং এর পরিষেবা ২৪ ঘন্টার জন্য করা হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ব্যাংকের অফিসার্স কনফেডারেশন (এআইবিওসি) সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্ত ধর্মঘটের দিন সদস্যদের কোনও ধরনের অফিশিয়াল দায়িত্ব পালন না করার আবেদন জানিয়েছেন। বেতন বৃদ্ধির দাবি জানানোর পাশাপাশি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নও ব্যাঙ্কিং রিফর্মস এবং ব্যাংক মার্জেস এর বিষয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- বছরের শুরুতেই দাম কমল সোনার, মুখে হাসি মধ্যবিত্তের
বিএফআই-এর মতে, ওয়েজেস রিভিসন ব্যাংক কর্মচারী ও অফিসারদের জন্য তাদের দাবি অকারণে বিলম্বিত হচ্ছে। এই কারণে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে নিয়োগ কর্মচারীরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিওএ), ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (আইএনবিইএফ) এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ব্যাংক অফিসার্স কংগ্রেস (আইএনবিওসি)-ও এই ব্যাংক ধর্মঘট সমর্থন করেছেন। ফলে ৮ জানুয়ারি বুধবার সারা দেশ জুড়ে ব্যাংক ও এটিএম পরিষেবা বন্ধ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।