সংক্ষিপ্ত
ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। তিনি বলেছেন, ভিন্ন ধর্মের মহিলার সঙ্গে ভ্রমণের জন্য এক বাইক আরোহীর ওপর হামলা চালান হয়। এই ঘটনা বরদাস্ত করবে না তাঁর সরকার।
দুই ভিন্ন ধর্মের পুরুষ ও মহিলা একই বাইকে সওয়াল হয়েছিল। তাতেই দোষ দেখছিলেন মহিলার যে ধর্মে বিশ্বাস করেন সেই ধর্মের দুই পুরুষ। মহিলার সঙ্গীকে রীতিমত আক্রমণ করে দুই তরুণ। বাইক আরোহীর হামলা শুরু হয়ে। মারধর করা হয়। তালিবানি মানষিকতার সেই ভিডিও নিমেশে ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনা ভারতের কোনও প্রত্যন্ত এলাকার নয়। এই ঘটনা ঘটেছে দেশের সিলিকন সিটি হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরুতে।
শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরুতে ঘটনে এই ঘটনা। যদিও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই সক্রিয় হয় পুলিশ। ঘটনার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত দুই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার রাতের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। তিনি বলেছেন, ভিন্ন ধর্মের মহিলার সঙ্গে ভ্রমণের জন্য এক বাইক আরোহীর ওপর হামলা চালান হয়। এই ঘটনা বরদাস্ত করবে না তাঁর সরকার। তিনি বলেন তাঁর প্রশাসন দ্রুত কাজ করছে। বেঙ্গালুরু পুলিস অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। আক্রান্তদের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁর সরকার গোটা ঘটনাই কড়া হাতে মোকাবিলা করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন গোটা ঘটনার ভিডিওটি রেকর্ড করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি দেখা গেছে এক ব্যক্তি অন্য ধর্মের মহিলাকে বাইকে করে নিয়ে যাচ্ছিলন। তারপরই তাদের বাইক আটকে দাঁড়ায় দুই তরুণ। তাঁদের ধর্মের মহিলাকে এই ব্যক্তি কী করে বাইকে চড়িয়ে- এই প্রশ্ন করার পরই তাঁকে মারধর করা হয়। তারপরই আক্রান্ত মহিলাকে বাধ্য করা হয় তাঁর স্বামীর ফোন নম্বর দিতে। দুই তরুণের মধ্যে এক মহিলার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। ভিন ধর্মের ভিন ধর্মের পুরুষের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বাইকে সওয়ার হওয়ায় মহিলার স্বামীকে অশালীন ভাষায় আক্রামণ করে। মহিলার স্বামীকে নপুংসকও বলা হয়।
Babul Supriyo: রামদেব বাবা থেকে মশলামুড়ি, বাবুল সুপ্রিয়র বর্ণময় রাজনীতির ৭ বছর
সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেই পদত্যাগ ক্যাপ্টেনের, ঠিক কী কী লিখেছিলেন অমরিন্দর সিং
বেঙ্গালুরুতে প্রচুর মানুষ BTMলেআউটে কাজ করে। মহেশ ও এক মহিলাও সেখানে কাজ করে। ভিড় এড়াতে ও দ্রুত বাড়ি যেতে চেয়ে বোরখা পরা মহিলা মহেশের বাইকে যেতে চেয়েছিল। সহকর্মীকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার মধ্যে কোনও অপরাধ দেখেনি মহেশ। কিন্তু মহিলা যখন বাইকে চড়ে তখনই কিছু মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। মহিলাকে ভিন ধর্মের পুরুষের বাইকে চড়ার জন্য মারধর করে। মারধর করা হয় মহেশকেও। স্থানীয় মৌলবাদীরা জোর করে দুজনেই বাইকের কাছ ছেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত মহিলাকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগে মহিলার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। পাশাপাশি স্বামীকেও অকথ্যগালিগালাজ করে।