সংক্ষিপ্ত
করোনা টিকার বুস্টার ডোজের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখলেন হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পরিচালক কৃষ্ণা এলা। তাঁর দাবি অ্যান্টি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে একটি বুস্টার ডোজ করোনা প্রতিরোধে আদর্শ হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA), ব্রিটেন (UK) সহ বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের(Corona Virus) টিকার (Vaccine) বুস্টার ডোজ (booster shots) দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে স্বাস্থ্য সেবা ও ফ্রন্টলাইন কর্মীদের মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। তাই বুস্টার শটের প্রয়োজন রয়েছে। যখন বেশ কয়েকটি দেশ বুস্টার শট দিয়ে টিকা দেওয়া শুরু করেছে, সেই সময় ভারতেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজের।
এক অনুষ্ঠানে করোনা টিকার বুস্টার ডোজের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখলেন হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পরিচালক (Bharat Biotech CMD) কৃষ্ণা এলা। তাঁর দাবি অ্যান্টি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে একটি বুস্টার ডোজ করোনা প্রতিরোধে আদর্শ হবে। তবে এ বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।
এদিন তিনি বলেন ভারত বায়োটেক বুস্টার ডোজের ব্যাপারে যথেষ্ট দ্রুত কাজ করছে। তবে এখনও পর্যন্ত, সরকার এবং কিছু বিশেষজ্ঞের মতামত যে এই বুস্টার ডোজ জরুরি নয় এবং টিকার দুটি ডোজ দিয়েই করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা সম্পূর্ণ হয়। তবু কিছু দেশ, তাদের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে।
এলা জানান অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে টিকার কার্যকারিতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। সেই কারণে স্বাস্থ্য চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। পাশাপাশি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বুস্টার ডোজ টিকার কার্যকারিতা অনেকদিন পর্যন্ত বজায় রাখে। তাই কোভিড মোকাবিলায় বুস্টার ডোজ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বুস্টার ডোজ আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই কোভ্যাক্সিনের জরুরি অনুমোদনের আবেদন জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল ভারত বায়োটেক। কিন্তু এর আগে নানা কারণে তা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। অবশেষ জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয় কোভ্যাক্সিনকে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের অনেক আগে থেকেই ভারতে করোনা টিকা হিসেবে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। ভারতের প্রথম দুটি টিকা হল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন।
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা জানান হয় ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন জরুরি ব্যবহারের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি ব্যবহারের তালিকা বিশ্বব্যাপী অ্যাক্সেস ও কোভ্যাক্সিনের প্রাপ্যতা ত্বরান্বিত করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি ব্যবহারের তালিকায় (ELU) খুব তাড়াতাড়ি কোভ্যাক্সিনের না দাখিল করবে। পাশাপাশি তালিকাভুক্ত দেশগুলিকেও তা পাঠান হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অনুমোদনই ইউনিসেফ, জিএভিআই, পিএএইচওকে কোভ্যাক্সিন বিতরণের অনুমতি দিয়েছে।
Mamata Banerjee-তেলের দাম বাড়িয়ে ৪লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র,দাবি মমতার
Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী
এদিন এলা করোনা ভ্যাকসিনের নাসাল ভার্সান নিয়েও কথা বলেন। তাঁর দাবি কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ বা পূর্বে সংক্রমিত ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য নাকের কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া যেতে পারে। একটি ইনজেকশনযোগ্য ভ্যাকসিনের তুলনায় অনুনাসিক ভ্যাকসিন সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও কার্যকর, যা ওপরের ফুসফুসে পৌঁছায় না।