সংক্ষিপ্ত
এবারও সময়ের অভাবে পিছিয়ে যায় শুনানি। এরপর আগামী ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে ফের উঠতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলাটি।
আগে যতবারই শুনানির দিন এসেছে ততবারই হতাশ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এবারও তা পিছু ছাড়ল না। প্রতিবারই কোনো না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। অতীতে বহুবার সময়ের অভাবে ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি হয়নি বা হলেও সামান্য সময়ের জন্যই হয়েছে। এবার কী হতে চলেছে? আদৌও কি হাসি ফুটবে সরকারি কর্মীদের মুখে?
গত সোমবার ১১৯ দিন পর বাংলার ডিএ মামলা শুনানির জন্য ওঠার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে এবারও সময়ের অভাবে পিছিয়ে যায় শুনানি। এরপর আগামী ২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) সুপ্রিম কোর্টে ফের উঠতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলাটি।
এরই মধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হল, যে করেই হোক তারা এই মামলায় যুক্ত হচ্ছেন। পাশাপাশি আইনজীবীর নাম ঘোষণা করা হল। হরিশ সালভে তাদের আইনজীবী হবেন বলে জানালেন ডিএ আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
ভাস্করবাবু বলেন,’ ফের একটা ডেট, সুবিচার পাওয়া থেকে আবারও বিলম্ব। যা দেখতে পাচ্ছি,তাতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা যেভাবে গোটা বিষয়টাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন আমরা তা পারছি না। এদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা এঁটে উঠতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন জায়গাতে গিয়ে বলেন যে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিচার প্রক্রিয় বিলম্বিত হওয়া মানেই বিচার না দেওয়া। তবে প্রধান বিচারপতির সেই প্রতিষ্ঠানেই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, পেনশনরদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি দিনের পর দিন ঝুলে থাকে। ফের একটা ডেট, আবারও বিলম্ব…দিনের পর দিন।’
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।