সংক্ষিপ্ত

কংগ্রেসের কাছে একটি রাজ্যসভার আসনে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ভোট রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে বিজেপি তা মানতে রাজি নয়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যের পরে, কংগ্রেসের আসাম ইনচার্জ জিতেন্দ্র সিং গুয়াহাটিতে পৌঁছেছেন এবং দলীয় বিধায়কদের সাথে বৈঠক করছেন।

বৃহস্পতিবার অসমের দুটি রাজ্যসভা আসনের ভাগ্যনির্ধারণ। তবে এই নির্বাচনের ফল বেশ আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। একদিকে অসমের দুটি আসনের মধ্যে একটিতে জয় পাওয়ার মত যথেষ্ট বিধায়ক সংখ্যা হাতে রয়েছে বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অবশ্য দুটি আসনেই জয় পাওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন। 

বিজেপি একটি আসন থেকে পবিত্র গগৈ মার্ঘেরিতাকে প্রার্থী করেছে এবং তার শরিক দল ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল) অন্যটি থেকে রুংওয়া নারজারিকে দাঁড় করিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন “কংগ্রেস জানে না যে তার অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। এছাড়াও, প্রার্থীরা রাজ্যসভা নির্বাচনে দলের জারি করা হুইপ অনুসরণ করতে বাধ্য নয়। এই হিসাব অনুযায়ী, আমরা রাজ্যের দুটি আসনেই জয়ী হব।"

কংগ্রেসের একমাত্র প্রার্থী প্রাক্তন সাংসদ রিপুন বোরা। তিনি বলেন "কংগ্রেসের সংখ্যা জয়ের জন্য যথেষ্ট। এই আসনে তিনিই জিতবেন। উল্লেখ্য, প্রতিটি বিজয়ী প্রার্থীর কমপক্ষে ৪৩টি ভোট প্রয়োজন। ১২৬ সদস্যের অসম বিধানসভায়, বিজেপির ৬৩ জন বিধায়ক রয়েছে, যেখানে সহযোগী অসম গণ পরিষদ (এজিপি) এবং ইউপিপিএলের যথাক্রমে নয় এবং সাতজন বিধায়ক রয়েছে। বোডোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ), যা বিজেপিকে সমর্থন করছেন, তাদের তিনজন বিধায়ক রয়েছে।

সুতরাং, বিজেপির পক্ষে সম্ভাব্য কমপক্ষে ৮২টি ভোট রয়েছে। 
কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়ক রয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন বিধায়ক সহ অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এবং একজন করে রায়জোর দল এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র বিধায়কও রয়েছেন।  এই সমস্ত বিধায়ক যদি কংগ্রেসকে সমর্থন করেন তবে তাদের মোট ৪৪টি ভোট হবে।

বিধায়ক কেনাবেচার খেলা ?

সুতরাং, কংগ্রেসের কাছে একটি রাজ্যসভার আসনে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ভোট রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে বিজেপি তা মানতে রাজি নয়। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যের পরে, কংগ্রেসের আসাম ইনচার্জ জিতেন্দ্র সিং গুয়াহাটিতে পৌঁছেছেন এবং দলীয় বিধায়কদের সাথে বৈঠক করছেন। কংগ্রেস নির্বাচনের দিন তার বিধায়কদের কাছে তিন লাইনের হুইপ জারি করেছে। হাত শিবিরের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে যে বিজেপির পক্ষে কোনও ক্রস-ভোটিং হবে না।

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ৪ রাজ্যে জয়ী হয়েছে বিজেপি। শুধুমাত্র পঞ্জাবে কংগ্রেসকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে আম আদমি পার্টি। এর মধ্যেই আবার ৩১ মার্চ রাজ্যসভার ১৩টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। অসম, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরা থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্যরা ২ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেন। পঞ্জাবের পাঁচজন সদস্য ৯ এপ্রিল অবসর নিচ্ছেন। তার জেরে এই নির্বাচন হবে। ভোটের দিন বিকেল পাঁচটা থেকে গণনা করা হবে। এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় ২৪৫জন সদস্যের মধ্যে বিজেপির সংখ্যা ৯৭।