সংক্ষিপ্ত
- নির্বাচনী বন্ড চালু করতে বদ্ধ পরিকর বিজেপি
- এরমধ্যেই তাদের নির্বাচনী তহবিল নিয়ে বের হল চাঞ্চল্যকর তথ্য
- জানা গিয়েছে ইকবাল মির্চির সঙ্গে ব্যবসা করা সংস্থাই কোটি কোটি টাকা দিয়েছে বিজেপিকে
- এই তথ্য গোপন করতেই নির্বাচনী বন্ড চালু করা হচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠছে
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে গত দুদিন ধরে বিতর্কে উত্তাল হয়েছে সংসদ। কক্ষত্যাগ করেছেন কংগ্রেস সাংসদরা। এর মধ্যেই নয়া বিতর্কে জড়ালো বিজেপি। আরকেডব্লু নামে একটি সংস্থার কাথছ থেকে বড় মাপের অনুদান পেয়েছিল বিজেপি। তাদের বিরুদ্ধেই ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী তথা দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইকবাল মির্চি বা ইকবাল মেনন-এর সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করছে ইডি।
নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-র নির্বাচনী তহবিলে ১০ কোটি টাকা দান করেছিল আরকেডব্লু ডেভেলপার্স লিমিটেড। এর পাশাপাশি সানব্লিঙ্ক রিয়েল এস্টেট সংস্থা-ও বিজেপি-কে ২ কোটি টাকা দিয়েছিল। স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরেকটি সংস্থাও বিজেপিকে ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল। এছাড়া ২০১৬-১৭ সালে দর্শন ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি সংস্থা ৭.৫ কোটি টাকা দিয়েছিল বিজেপির তহবিলে।
সমস্যা হল এই আরকেডব্লু ডেভেলপার্স লিমিটেড ও সানব্লিঙ্ক রিয়েল এস্টেট সংস্থা সরাসরি ইকবাল মির্চির সম্পত্তি কেনাবেচায় যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির তহবিলে সবচেয়ে বেশি অনুদান দেওয়া সংস্থা আরকেডব্লু সংস্থার প্রাক্তন ডিরেক্টর রঞ্জিত বিন্দ্রা-কে। আর বাকি দুটি সংস্থাও এই দুই সংস্থার মাধ্যমে ইকবাল মির্চির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে ইডি।
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে আগে ইডি এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল-কে ইকবাল মির্চি মামলায় জিজ্ডাসাবাদ করেছিল। প্য়াটেল সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারপরও নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ওই প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছিলেন, সরকারের উচিত ছিল এই সন্ত্রাসবাদীদের শাস্তি দেওয়া। তার বদলে তারা মির্চির ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।
এইবার সেই আক্রমণ বিজেপির দিকেই ফিরে এসেছে। এখন কিন্তু বিজেপির সর্বাভারতীয় সবাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলথছেন, ইকবাল মির্চির সঙ্গে ব্যবসা করাটা দেশদ্রোহিতা নয়। তবে বিরোধীরা সহজে এই বিষয়টি ছাড়তে নারাজ। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরযওয়ালা টুইট করে সন্ত্রাসবাদীদের সহযোগীদের থেকে টাকা নেওয়া দেশদ্রোহিতা কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন। এই জন্যই কি বিজেপি নির্বাচনী বন্ড চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে।