সংক্ষিপ্ত

আগামী ২৫ বছরের উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করবে গেরুয়া শিবির। মণিপুরের হেইনগাং-এ একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার একমাত্র মণিপুরের উজ্জ্বল ভবিষ্যত লিখতে পারে। বিজেপির হাতেই মণিপুরের (Manipur) উন্নয়ন লুকিয়ে রয়েছে (foundation for future development)। আগামী ২৫ বছরের উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করবে গেরুয়া শিবির। মণিপুরের হেইনগাং-এ একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi)।

এদিন মোদী বলেন “গত পাঁচ বছরে, বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছে। আপনি বিজেপির সুশাসন এবং ভালো উদ্দেশ্য দেখেছেন। গত পাঁচ বছরে আমাদের কাজ আগামী পঁচিশ বছরের জন্য ভিত্তি স্থাপন করেছে। ভালো উদ্দেশ্যের সঙ্গে বিজেপি তার বাস্তবায়নও করে।”

কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে মণিপুরে কয়েক দশক ধরে কংগ্রেসের শাসনের পরে, রাজ্যটি কেবলমাত্র বৈষম্য প্রত্যক্ষ করেছে। গত মাসে, মণিপুর তার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে। গত কয়েক দশকে বেশ কয়েকটি সরকার এই রাজ্যে শাসন করেছে। কয়েক দশক ধরে কংগ্রেসের শাসনের পর, মণিপুরে শুধু বৈষম্য ছিল। তিনি আরও বলেন যে বিজেপি সরকার অসম্ভবকে সম্ভব করেছে এবং মণিপুরের প্রতিটি অঞ্চল বনধ এবং অবরোধ থেকে মুক্তি পেয়েছে।

আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইয়ে আপ-বিজেপির, কেমন ছিল ২০১৭ সালের পঞ্জাব বিধানসভার ফল

আরও পড়ুন- হিজাব ইস্যুতে শুনানি নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট 

প্রধানমন্ত্রী তরুণ ও প্রথমবারের মতো ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজ্যের তরুণরা অস্ত্র ছেড়েছে এবং উন্নয়নের নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের কাজের প্রশংসা করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলে তাঁর সরকার সবাইকে এগিয়ে নিয়ে এসে মণিপুরের জন্য পরিবর্তনের একটি নতুন অধ্যায় রচনা করেছে।

তিনি আরও বলেন যে বিজেপি সরকার কোভিডের সময় রাজ্যের প্রতি যত্নবান ছিল, সেই সঙ্গে সবরকম সরকারি পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। মণিপুরে প্রত্যেককে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। যদি ২০১৭ সালের আগে এই ধরনের মহামারী আসত, তাহলে কী হত? প্রশ্ন তুলেছেন মোদী। 

প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন আরও বলেন, যে প্রতি ১০ জন মণিপুরীর মধ্যে সাতজন এখন বিনামূল্যের রেশন পাচ্ছেন। যা আগে পাওয়া যেত না। মণিপুরী মহিলারা বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু পূর্বতন সরকার কখনোই মণিপুরী নারীদের জন্য কিছু করেনি। শুধুমাত্র এনডিএ সরকারগুলি তাদের সমস্যাগুলি বুঝতে পেরে তাদের জীবনকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করেছে। 

উল্লেখ্য, মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের তারিখ সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় দফার ভোট তেসরা মার্চের পরিবর্তে পাঁচই মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১০ মার্চ।

মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আসন্ন নির্বাচনের জন্য ইম্ফল পূর্ব জেলার হেইনগাং আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মণিপুরে ৬০টি আসন রয়েছে। ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ২০,৫৬,৯০১। এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল মণিপুরে প্রথম দফার নির্বাচন হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় দফার ভোট মার্চের ৩ তারিখ হবে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে ৫ রাজ্যেই ভোট গণনা হবে আগামী ১০ মার্চ।